বালুরঘাট, ২৫ নভেম্বর : প্রায় ১৫ দিন ধরে চলছিল পরিদর্শন অভিযান । তারই বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক বা রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হল বালুরঘাট টাউন হলে । এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল, অতিরিক্ত তিন জেলাশাসক ও দুই মহকুমা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা । বৈঠকে ১০০ দিনের কাজে অগ্রগতি আনতে নির্দেশ দেন জেলাশাসক । প্রসঙ্গত,১০০ দিনের কাজে পিছিয়ে থাকা নিয়েই সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের উপর বেজায় চটে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। শেষ পর্যন্ত সোমবার পর্যালোচনা সভায় উঠে আসা ওই সমস্যার উপর বিশেষ নজর দিতে জেলা ও ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
জানা গেছে ,পরিদর্শন অভিযান নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার । তাতে মানুষের কাছে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা কতটা পৌঁছাচ্ছে বা কোনও অসুবিধা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । এই উপলক্ষ্যে গত ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান চলে । অভিযান শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে একজন IAS (প্রবেশনারি), চার অতিরিক্ত জেলা শাসক সহ ৪২ জন WBCS পদের আধিকারিক ছিলেন ।
১০০ দিনের কাজে কেন পঞ্চায়েতগুলি পিছিয়ে পড়ছে তা নিয়েও রিপোর্ট তলব করেন জেলাশাসক । ১০০ দিনের কাজে সবথেকে বেশি নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসগুলিকে । এখন থেকে প্রতি মাসে এরকম রিভিউ মিটিং হবে । সেখানে জেলার বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে নিয়ে তার অগ্রগতি পরিলক্ষিত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, "তাঁদের অভিযানে বেশ কিছু সমস্যা ও গাফিলতি উঠে আসে। তাঁদের আধিকারিকদের অভিযানের সময় কিছু ICDS সেন্টার বন্ধ দেখা গিয়েছিল। এছাড়া কিছু স্কুলে কয়েকজন শিক্ষককে অনুপস্থিত দেখা যায়। দুটি রেশন দোকানে চালের মান খারাপ উঠে আসে। মালিকদের শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া সব চেয়ে বেশি সমস্যা দেখা গেছে একশো দিনের কাজে । অন্যান্য বিষয় তো বটেই, একশো দিনের প্রকল্পকে সার্থক এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"