বালুরঘাট, 27 সেপ্টেম্বর : লাগাতার বৃষ্টির জেরে আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বেড়েছে ৷ গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও বিকেল থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হয় ৷ এর ফলে আত্রেয়ীর দু'পাড় প্লাবিত হয়ে যায় ৷ বালুরঘাট কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ হালদারপাড়া, আত্রেয়ী কলোনি সহ আরও কয়েকটি এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে ৷ জমিতে জল জমায় নষ্ট হয়েছে ফসল ৷
কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে ৷ একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ৷ আত্রেয়ী নদীতেও জল বেড়েছে ৷
হালদার পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অঞ্চলে একটি স্লুইসগেট রয়েছে ৷ তা দিয়ে নদীর জল ঢুকছে ৷ এদিকে আত্রেয়ী কলোনির বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷ পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি ৷ হঠাৎ করে নদীর জল জমিতে ঢুকে পড়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে ৷ হালদার পাড়ার বাসিন্দা বাবলু হালদার বলেন, "নদীর জল ঢুকে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে । এমনিতে যা পরিস্থিতি তার উপর এমন পরিবেশে মানুষ এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়বে ।"
বোয়ালদারের বেগুনবাড়ি, রাজাপুর এবং বোল্লার হরিহরপুরা, কাস্তাগড়, রায়পুর, পাল পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি পরিমাণে কপির চাষ হয়। সেখানকার ফসলগুলি এখন নষ্টের মুখে । প্রায় 200 হেক্টর জমিতে জল জমেছে । যার ফলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা । বোয়ালদার গ্রামপঞ্চায়েতের রাজাপুর এলাকার চাষি গফিসুদ্দিন মুন্সি বলেন, "নদী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আমার জমি রয়েছে । প্রায় 500 একর জমি এখন জলের তলায় । ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটলসহ নানারকম সবজি লাগিয়েছিলাম । এখন সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার মুখে । সবজিগুলি নষ্ট হয়ে গেলে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ।"
জেলা সেচ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, "কাল রাত থেকে আত্রেয়ীর জল প্রাক বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে । পূর্ণভবা ও টাঙ্গন নদীর জল বিপদসীমা পেরিয়েছে । তবে আত্রেয়ীর জল আজকে খানিকটা বাড়বে । কিন্তু বিপদের কোনও আশঙ্কা নেই । বৃষ্টি কমে গেলে শীঘ্রই জল নেমে যাবে ।"