ETV Bharat / state

পাকস্থলির ফুটো থেকে সংক্রমণ, ঝুঁকি নিয়ে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য বালুরঘাট হাসপাতালে

author img

By

Published : Jan 15, 2020, 9:47 PM IST

বালুরঘাট থানার বোয়ালদার পঞ্চায়েতের রাজুয়া এলাকার বাসিন্দা গণেশ বাস্কে পেশায় দিনমজুর । 16 ডিসেম্বর হাসপাতালে তিনি পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হন । পাকস্থলীতে গুরুতর সংক্রমণ দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র রেফার করেন । বিষয়টি জানতে পারেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে । তিনি হাসপাতালের সুপার তপন কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন । এরপর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসান সুবিদের নেতৃত্বে গণেশের অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিকেল টিম তৈরি হয় ।

Sucessful Operation at balurghat
বালুরঘাট হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার

বালুরঘাট, 15 জানুয়ারি: পাকস্থলির জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য পেল বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ।পাকস্থলিতে ফুটো হয়ে মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গণেশ বাস্কে নামে এক রোগী । ঝুঁকি নিয়ে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা । গণেশ এখন অনেকটাই সুস্থ বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ।

বালুরঘাট থানার বোয়ালদার পঞ্চায়েতের রাজুয়া এলাকার বাসিন্দা গণেশ পেশায় দিনমজুর । 16 ডিসেম্বর হাসপাতালে তিনি পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হন । পাকস্থলীতে গুরুতর সংক্রমণ দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র রেফার করেন । কিন্তু টাকার অভাবে গণেশের পক্ষে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না । বিষয়টি জানতে পারেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে । তিনি হাসপাতালের সুপার তপন কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন । এরপর সুপার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসান সুবিদের সঙ্গে । হাসান সুবিদের নেতৃত্বে গণেশের অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিকেল টিম তৈরি হয় । 20 ডিসেম্বর গণেশের পাকস্থলিতে দেড় ঘন্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচার হয় । তারপর প্রায় ২০ দিন গণেশ চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে ছিলেন । এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন । দিন কয়েকের মধ্যে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।

বালুরঘাট হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার

হাসপাতাল সুপার বলেন, "রোগীকে বাইরে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারছিল না তাঁর পরিবার । রোগীর শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না । এই রকম জটিল অস্ত্রোপচার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই প্রথম । রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া অত্যাধুনিক পরিকাঠামোতেই এই সাফল্য মিলেছে ।" চিকিৎসক হাসান সুবিদ বলেন, "রোগীর পাকস্থলীর পিছনের অংশে ফুটো হয়ে পচন ধরছিল । সেখান থেকে তরল রস বেরিয়ে এসে পেটের ভিতরে জমছিল । এতে পেট ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের অন্যত্র সংক্রমণ শুরু হয়েছিল । ঝুঁকি নিয়ে এই জটিল অস্ত্রোপচার করে সাফল্য এসেছে ।"

বালুরঘাট, 15 জানুয়ারি: পাকস্থলির জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য পেল বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ।পাকস্থলিতে ফুটো হয়ে মরণাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গণেশ বাস্কে নামে এক রোগী । ঝুঁকি নিয়ে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা । গণেশ এখন অনেকটাই সুস্থ বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ।

বালুরঘাট থানার বোয়ালদার পঞ্চায়েতের রাজুয়া এলাকার বাসিন্দা গণেশ পেশায় দিনমজুর । 16 ডিসেম্বর হাসপাতালে তিনি পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হন । পাকস্থলীতে গুরুতর সংক্রমণ দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র রেফার করেন । কিন্তু টাকার অভাবে গণেশের পক্ষে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না । বিষয়টি জানতে পারেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে । তিনি হাসপাতালের সুপার তপন কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন । এরপর সুপার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসান সুবিদের সঙ্গে । হাসান সুবিদের নেতৃত্বে গণেশের অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিকেল টিম তৈরি হয় । 20 ডিসেম্বর গণেশের পাকস্থলিতে দেড় ঘন্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচার হয় । তারপর প্রায় ২০ দিন গণেশ চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে ছিলেন । এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন । দিন কয়েকের মধ্যে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।

বালুরঘাট হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার

হাসপাতাল সুপার বলেন, "রোগীকে বাইরে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারছিল না তাঁর পরিবার । রোগীর শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না । এই রকম জটিল অস্ত্রোপচার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই প্রথম । রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া অত্যাধুনিক পরিকাঠামোতেই এই সাফল্য মিলেছে ।" চিকিৎসক হাসান সুবিদ বলেন, "রোগীর পাকস্থলীর পিছনের অংশে ফুটো হয়ে পচন ধরছিল । সেখান থেকে তরল রস বেরিয়ে এসে পেটের ভিতরে জমছিল । এতে পেট ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের অন্যত্র সংক্রমণ শুরু হয়েছিল । ঝুঁকি নিয়ে এই জটিল অস্ত্রোপচার করে সাফল্য এসেছে ।"

Intro:ফের বালুরঘাট হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে সফলতা পেল চিকিৎসকরা।।

বালুরঘাট, ১৫ জানুয়ারি: ফের একবার জটিল অস্ত্রোপচার করে সফলতা পেল বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বালুরঘাট হাসপাতালে পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হওয়া মরনাপন্ন দুঃস্থ রোগীকে প্রথমে অন্যত্র রেফার করা হলেও পরে তার ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করে সফলতা পায় চিকিৎসকরা। বর্তমানে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই রোগী। জেলা হাসপাতালে এই প্রথম এমন অস্ত্রোপচারে সফলতায় পাওয়ায় খুশি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা।

জানা গেছে, বালুরঘাট থানার বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজুয়া এলাকার বাসিন্দা গনেশ বাস্কে (৩৫)। তিনি পেশায় দিনমজুর। গত ১৬ ডিসেম্বর বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হন। পাকস্থলীতে সংক্রামণ দেখে
এখানকার চিকিৎসকরা কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারা সাথে সাথে অন্যত্র রেফার করে দেন। কিন্তু দুঃস্থ গনেশের পক্ষে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিলনা। বিষয়টি জানতে পারেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে। যুবকটির আর্থিক দূর্দশার কথা ভেবে তিনিভবালুরঘাট হাসপাতালে সুপার তপন কুমার বিশ্বাসের সাথে কথা বলেন। এরপর হাসপাতাল সুপার তাদের হাসপাতালের অন্য আরেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসান সুবিদের সাথে কথা বলেন। গনেশের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য কয়েকদিনের মধ্যে একটি টিম তৈরি করা হয়। অবশেষে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গত ২০ ডিসেম্বর দেড় ঘন্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচার করে সফল ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এরপর প্রায় ২০ দিন ধরে চিকিৎসকরা গনেশকে বিশেষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখেন। বর্তমানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগী। দিন কয়েকের মধ্যে তাকে ছুটি দেওয়াও হবে বলে জানান হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে গনেশ বাস্কে জানান, পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন। বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। বালুরঘাট হাসপাতালেই তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।

এবিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতাল সুপার তপন বিশ্বাস জানান, রোগীকে বাইরে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারছিলনা পরিবার। রোগী শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না। এই রকম জটিল অস্ত্রোপচার বালুরঘাট হাসপাতালে এই প্রথম। রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া অত্যাধুনিক পরিকাঠামোতেই এই সাফল্য বলে জানান তিনি।

অন্য দিকে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসান সুবিদ জানান, এই হাসপাতালে এমন অস্ত্রোপচার এই প্রথম। কেননা পাকস্থলীর পিছনে অংশ ফুটো হওয়ায় কারনে পচন ধরছিল। সেখানকার তরল জুস গুলি বেরিয়ে এসে পেটে ভিতরে জমছিল। এতে পেট ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি তরল জুস গুলি রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়ে সারা শরীরে সংক্রামণ ছড়িয়ে যায়‌। রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। রোগীর আর্থিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই তিনি দায়িত্ব নেন। সুপারের কাছে সন্মতি মিলতেই অজ্ঞানকারী চিকিৎসক, নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে একটি টিম গড়েন। ঝুঁকি নিয়ে এই জটিল অস্ত্রোপচার করে সফল হতে পেয়েছেন।Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.