একবালপুর, 14 মে: যুবককে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী ও শাশুড়ির ৷ রবিবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার একবালপুরে ৷ মা ও মেয়ের মৃ্ত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ৷ ঘটনার তদন্তে একবালপুর থানার পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, শাশুড়ি এবং স্ত্রীয়ের সঙ্গে একবালপুরের বাড়িতে থাকতেন ইজহার। রবিবার সকাল 7টা নাগাদ বাড়ির পাশে একটি ঝুলন্ত লোহার তারে ভেজা জামাকাপড় শুকোতে দিতে গিয়েছিলেন ইজহার আখতার। আচমকাই দেওয়ালে থাকা ইলেকট্রিক তারে হাত লেগে যায় তাঁর ৷ তাঁকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে তড়ঘড়ি তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন শাশুড়ি মুন্তাহা বেগম ৷ তড়িদাহত হন তিনিও ৷ আচমকাই মা ও স্বামীকে এইভাবে দেখে হতবাক হয়ে যান স্ত্রী খায়রুলন্নেসা ৷ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তাঁদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসনে খায়রুলন্নেসা ৷ তড়িদাহত হন তিনিও ৷ ঘটনায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মা এবং মেয়ের। গুরুতর অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে মা ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ পাশাপাশি জখম অবস্থায় মোমিনপুর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ইজহারকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, "আমি বাইরে থেকে আসছিলাম ৷ এসে দেখলাম তিনজন পড়ে রয়েছেন ৷ শর্টসার্কিট হয়ে তিনজন গলিতে পড়ে রয়েছে ৷ ইজহার ওখানে পড়েছিল ৷ ওঁর গায়ে ইলেকট্রিকের তারটা পড়েছিল ৷ আর পাশে মা ও মেয়ে হাত ধরে পড়েছিল ৷ আর মেয়েটা বারবার হিচকি টানছিল ৷ এই দেখে একটা বাঁশ দিয়ে তারটা সরানো হয় ৷ মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় ইজহারকে মোমিনপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন : পানীয় জলের দাবিতে দুর্গাপুরে পথ অবরোধ আদিবাসী সম্প্রদায়ের
প্রসঙ্গত, গোটা ঘটনায় খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায় ৷ পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় সিইএসসিকেও ৷ তাদের একটি টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে পৌঁছে যান ৷ কী করে ঝুলন্ত তারে কারেন্ট চলাচল করছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে, এলাকাবাসীদের সুরক্ষার্থে আপাতত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় ও খায়রুলন্নেসার পরিবারে ৷