বাসন্তী (দক্ষিণ 24 পরগনা), 30 মার্চ : বগটুই-কাণ্ডের (Rampurhat Massacre) পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্র-বোমা উদ্ধারে নেমেছে পুলিশ ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীতে দু’টি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে (One Person Died in Bomb Blast at Basanti) ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় মজুত থাকা সমস্ত বেআইনি বোমা ও অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার আর্জি জানালেন বাসন্তীর বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের শ্যামল মণ্ডল (TMC MLA of Basanti Shyamal Mondal) ৷
শাসক দলের এই বিধায়ক বেআইনি বোমা ও অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার জন্য এলাকার দুষ্কৃতীদের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন (TMC MLA Urges Illegal Bombs and Weapons to be submitted to the police within 72 hours) ৷ একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী 72 ঘণ্টার মধ্যেই ওই সমস্ত বোমা-অস্ত্র জমা দিতে হবে ৷ একই সঙ্গে তিনি এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাসন্তীর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনিভাবে বোমা মজুত করে বিষয়টিই তদন্তে উঠে এসেছে ৷ ঘটনায় হামিজ উদ্দিন সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ ৷ যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর বাড়িতেই বোমা মজুত ছিল বলে অভিযোগ ৷ আর সেই বোমা বিস্ফোরণের জেরেই মৃত্যু হয় ফারুক সর্দারের ৷ ফারুক সম্পর্কে হামিজের দাদা ৷ তিনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ৷
বাসন্তীর বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে গতকাল, মঙ্গলবার ৷ সেখানকার ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের 11 নম্বর সর্দারপাড়ার দু’টি বাড়িতে বিস্ফোরণের জেরে আগুন ধরে যায় ৷ যে বাড়ির একটি হামিজ উদ্দিনের ৷ আর দ্বিতীয়টি মফিজ উদ্দিনের ৷ দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ বাড়ির অদূরে একটি ধানখেত থেকে ফারুককে অগ্নিদগ্ধ হিসেবে উদ্ধার করা হয় ৷ পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷
আরও পড়ুন : Basanti Blast : বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণে ভস্মীভূত বাড়ি, আতঙ্কে গ্রামবাসী