ক্যানিং, 9 জুলাই: ক্যানিংয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ 3 জনকে খুনের ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি (TMC Leaders Murder at Canning)। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রফিকুলের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ । অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চলছে চিরুনি তল্লাশি ।
শনিবার ক্যানিংয়ে যায় তৃণমূলের 13 সদস্যর প্রতিনিধিদল । নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা । এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সওকত মোল্লা, শুভাশিস চক্রবর্তী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায়, প্রতিমা মণ্ডল, পরেশরাম দাস ও শ্যামল মণ্ডলরা (TMC delegation team meets families of deceased in Canning) । তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি-সহ আরও দুই তৃণমূল কর্মী খুন হন ক্যানিংয়ে । এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী ।
স্বপন মাঝি-সহ মোট তিনজনকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতের নাম আফতাবউদ্দিন শেখ । শুক্রবার গভীর রাতে কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । জানা গিয়েছে, আফতাবউদ্দিন ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে স্বপন মাঝি ও তাঁর দুই সঙ্গীর যাবতীয় গতিবিধি নজরে রেখেছিল । সেইমতো রফিকুল, বাপি, বসিররা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল বলেও অভিযোগ । তাঁরাই স্বপন মাঝিকে মাঝ রাস্তায় আটকায় । সেই সময় আফতাফও সেখানে ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ । একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, রফিকুল নামে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে স্বপন মাঝির দীর্ঘদিনের একটা বিবাদ ছিল । এরইমধ্যে এই ঘটনা ঘটে ।
এদিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাযন গ্রামবাসীরা । যদিও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার দাবি, "রফিকুল বলে কোনও কর্মী নেই আমাদের । কোনও সমাজবিরোধী আমাদের দলের কর্মী হতে পারে না । রফিকুল তৃণমূল কর্মী হলে তৃণমূলের লোককে খুন করবে কেন? ও একজন বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতী ।"
আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার 1
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে । যদিও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার স্পষ্ট দাবি, ক্যানিংয়ে এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই ।