সাগর 4 সেপ্টেম্বর : বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপ। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সুন্দরবনের শান্ত নদীগুলি মুহূর্তের মধ্যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ধেয়ে এসেছিল সমতলের দিকে। প্রবল জলস্রোতের কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছিল বহু মানুষ ৷ মাথাগোঁজার শেষ সম্বল টুকু হারিয়েছেন ঘোড়ামারা দ্বীপের কয়েক হাজার মানুষ।
প্রশাসনের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালানোর কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এখনও সেই স্মৃতি টাটকা দ্বীপবাসীর মনে। সেদিনের সেই কথা মনে করে এখনও শিউরে ওঠেন দ্বীপবাসী ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপ সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ভাঙন কবলিত। আমফান ও যশের জেরে তছনছ হয়ে যায় এই দ্বীপ।
প্রচুর মানুষ ভিটমাটি হারান। বেশ কিছু পরিবার পুরোপুরি নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে। যশ ঘূর্ণিঝড়ের পর 30টি পরিবার নিজেদের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে সাগরের একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়।
আরও পড়ুন : Third wave preparedness : তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পদক্ষেপ, শিশুদের জন্য হাসপাতালে বাড়ল শয্যা
এদিনের সাগরের ব্লক অফিস রুদ্রনগরে ঘোড়ামারা দ্বীপের 30 জন বাসিন্দার হাতে সরকারের পক্ষ থেকে জমির পাট্টা তুলে দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। প্রত্যেককে 20 শতক করে জমি দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি উলগানাথন, অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতিশ ঢালি, মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরের ধসপাড়া সুমতিনগরে এই পরিবারগুলিকে জমি দেওয়া হল। এরপর সরকারের উদ্যোগে পাকাবাড়ি ও শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের জেরে বিপর্যস্ত ঘোড়ামারা দ্বীপ। আমফান ও যশের পর প্রচুর মানুষ ভিটে হারান। কিছু পরিবারকে স্কুলে আশ্রয় দিতে হয়েছে। আজকে 30টি পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হল।"
আরও পড়ুন : Gangasagar Mela : গঙ্গাসাগর মেলার আগে 100 শতাংশ টিকাকরণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, "প্রত্যেককে 20 শতক করে জমি দেওয়া হল। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি করে দেওয়া হবে।" জমির পাট্টা পেয়ে খুশি গৃহহীন মানুষরা। ঘোড়ামারা দ্বীপে নদী ভাঙন আটকাতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ সরকারের তরফে বরাদ্দ হয়েছে অর্থ।