বারুইপুর, 2 সেপ্টেম্বর: ক্লাসরুম ছেড়ে রাস্তায় শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা। আন্দোলন, বিক্ষোভ ছাড়া উপায়ও নেই। ডিএ-র দাবি নয়, এবার স্কুলের পাশে ময়লা আবর্জনা দূর করতে ক্লাসরুম ছেড়ে রাস্তায় নামলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর সীতাকুণ্ড রোডের অন্তর্গত মাদারাট পপুলার অ্যাকাডেমি স্কুল ৷ দীর্ঘদিন ধরে সেই স্কুলের পাশে বিশাল আবর্জনার স্তূপ।
বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন বারুইপুর-মাদারাট রোডে একটি স্কুলের সামনে জনবহুল রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলতে ফেলতে স্তূপ হয়ে গিয়েছে। দুর্গন্ধ আর নোংরার জন্য ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা দুঃসহ হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা এবং এই রাস্তায় চলাচল করা মানুষজনের।
একাংশের কথায়, এখানে প্রতিদিন পৌরসভার গাড়ি আসে এবং সব বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ এখানে এসে আবর্জনা ফেলে যান।
আবার কারও কারও অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এখানে নোংরা ফেলা হয়। পৌরসভা এবং উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বারংবার বলেও এই নোংরা সরিয়ে নেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। প্রশ্ন হল, যদি রোজ পৌরসভার গাড়ি প্রত্যেক বাড়ি থেকে নোংরা সংগ্রহ করে, তবে এখানে এত নোংরার স্তূপ হল কীভাবে? তাই যদি হয়, তবে পৌরসভার উচিত এই বিষয়ে কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া। আর যদি রোজ গাড়ি না-আসে তবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছ থেকে বিষয়টা ভালো করে জেনে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া।
মোটের ওপর, এই রাস্তা দিয়ে রোজ হাজার হাজার মানুষ এবং যানবাহন যাতায়াত করে। রাস্তাটিকে সকলের যাতায়াতের যোগ্য করে তুলতে পৌরসভার যেমন নজরদারি প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন এলাকার মানুষের সচেতনতা ৷ বারুইপুর পপুলার অ্যাকাডেমি স্কুলের এক শিক্ষিকা মণি মালিকা দত্ত বলেন, "স্কুলের সামনে জমা জঞ্জালের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্কুলের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ৷ মশা, মাছি ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনওরকম সুরাহা হয়নি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও প্রায় সময় দুর্গন্ধের কারণে স্কুলে অনেক শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।"
এ বিষয়ে স্কুলের এক ছাত্রী অঙ্কিতা ঘোষ বলে, "এই আবর্জনার কারণে আমাদের অন্যান্য বন্ধুরা স্কুলে আসছে না ৷ আবর্জনার কারণে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই এই আবর্জনার স্তূপ অবিলম্বে সরিয়ে স্কুলের যে সুস্থ পরিবেশ তা ফিরিয়ে দিক প্রশাসন।"
আরও পড়ুন: একমাত্র শিক্ষক অসুস্থ থাকায় 7-8 মাস বন্ধ স্কুল, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরা