ETV Bharat / state

কখনও ট্রেনের মেঝে, কখনও সিট, চলন্ত ট্রেনেই পড়াশোনা গৃহহীন কিশোরের - Fruit vendor

অভাবের সংসার, দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জোগাড় করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে বাড়ি ঘরের স্বপ্ন দেখা অলীক কল্পনা । তাই দিনের কিছুটা সময় কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর, বাকিটা সময় চলন্ত ট্রেন ও রাতে শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরই ঠিকানা স্বামী পরিত্য়ক্তা, ফলবিক্রেতা আরতি দাস ও তাঁর দুই সন্তানের ।

অর্জুন
author img

By

Published : Aug 29, 2019, 3:11 AM IST

Updated : Aug 29, 2019, 5:32 AM IST

কাকদ্বীপ, 29 অগাস্ট : মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের সংগ্রাম কতটা কঠিন ছিল, তা জানা নেই ৷ তবে বাস্তবের জীবন সংগ্রামটা বোধহয় মারাত্মক কঠিন অর্জুনের ক্ষেত্রে । এই অর্জুন পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে ৷ আটটার আপ নামখানা-শিয়ালদা লোকাল । কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে ছাড়ার পর একটি কামরার মধ্যে একটি বছর 14-র কিশোরের দেখা মিলবে । কোনওদিন সিটের ওপর আবার কোনওদিন মেঝেতে বই, খাতা নিয়ে এক মনে পড়াশোনা করে চলেছে ওই কিশোর । পাশের সিটে ঘুমে কাতর বছর সাতের ছোট বোন । পাশে আছেন বছর ত্রিশের আরতি দাস ৷ সেই মহিলার চোখ-মুখ জুড়ে একরাশ ক্লান্তি। তিনিও কখনও সখনও ঢুলে পড়ছেন । ওই মহিলা কিশোরের মা । একের পর এক স্টেশনে ট্রেন থামছে ৷ যাত্রীরা ওঠা-নামা করছেন, কিন্তু ওই কিশোরের অন্যদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই , এক মনে পড়ে চলেছে সে ৷

অভাবের সংসার, দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জোগাড় করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে বাড়ি ঘরের স্বপ্ন দেখা অলীক কল্পনা । তাই দিনের কিছুটা সময় কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর, বাকিটা সময় চলন্ত ট্রেন ও রাতে শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরই ঠিকানা স্বামী পরিত্য়ক্তা, ফলবিক্রেতা আরতি দাস ও তাঁর দুই সন্তানের । অর্জুনের পড়াশোনার বেশিরভাগটাই হয় চলন্ত ট্রেনে ফলবিক্রেতা মায়ের পাশে, কিংবা প্ল্য়াটফর্মের ধারে বসে ৷ নেই মাথা গোঁজার ঠাই ।

কাকদ্বীপের বামুনের মোড় এলাকায় বছর আটেক ধরে মরশুমি ফল বিক্রি করেন আরতি দাস । বছর 15 আগে এলাকার যুবক বলাই দাসের সঙ্গে আরতির বিয়ে হয়েছিল । দুই সন্তান হওয়ার পর আরতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী । দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে তখন অথৈ জলে আরতি। আরতির বাপের বাড়ি রায়দিঘির কাশীনগর গ্রামে । বাপের বাড়িতেও টানাটানির সংসার ৷ সেইসময় আরতির দরিদ্র মা মেয়ের হাতে 500 টাকা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ''নিজের মতো করে কিছু করে সংসার চালা । '' সেই শুরু । মরশুমি ফল নিয়ে একসময় কাকদ্বীপ বাজারে বসতেন আরতি । দুই সন্তান তখন খুব ছোট । কিন্তু কোন বাড়ি নেই । তাই দোকানের পাশেই শুইয়ে রাখত । দিনে এভাবে কাটলেও রাত্রি কাটত কাকদ্বীপ প্ল্যাটফর্মে ।

এরপর শিয়ালদা থেকে ফল কেনা শুরু করেন আরতি । ছেলে অর্জুন ততদিনে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে । বর্তমানে স্থানীয় জ্ঞানদাময়ী বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে সে । মেয়ে পূর্ণিমা যায় স্থানীয় ICDS সেন্টারে । প্রতিদিন রাত্রি 8টা নাগাদ ট্রেনে দুই সন্তানকে নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে শিয়ালদার দিকে রওনা দেন আরতি। ছোট মেয়েটি ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়লেও অর্জুন ট্রেনের কামরাতেই পড়াশুনা করে । একদিকে মা ছোট বোনকে নিয়ে বসে থাকে, অন্যদিকে অর্জুন নিজের মত করে চালিয়ে যায় পড়াশোনা ।

মাসখানেক আগে সোশাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি সেলেব্রেটি হয়েছেন রানাঘাট স্টেশনের গায়িকা রানু মণ্ডল । আর সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই সম্প্রতি আরতি ও তাঁর সন্তানদের লড়াই নজরে আসে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের । শুরু হয় খোঁজখবর । অবশেষে সেই কিশোরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত । পড়াশোনার পাশাপাশি ওই পরিবারের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁইও হয়েছে । এবার থেকে পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ঘরে থাকবে ওই পরিবার । মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতাও দেওয়া হবে । লড়াই ছাড়বে না অর্জুন ৷ ভবিষ্যতে সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিতে চায় সে ।

কাকদ্বীপ, 29 অগাস্ট : মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের সংগ্রাম কতটা কঠিন ছিল, তা জানা নেই ৷ তবে বাস্তবের জীবন সংগ্রামটা বোধহয় মারাত্মক কঠিন অর্জুনের ক্ষেত্রে । এই অর্জুন পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে ৷ আটটার আপ নামখানা-শিয়ালদা লোকাল । কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে ছাড়ার পর একটি কামরার মধ্যে একটি বছর 14-র কিশোরের দেখা মিলবে । কোনওদিন সিটের ওপর আবার কোনওদিন মেঝেতে বই, খাতা নিয়ে এক মনে পড়াশোনা করে চলেছে ওই কিশোর । পাশের সিটে ঘুমে কাতর বছর সাতের ছোট বোন । পাশে আছেন বছর ত্রিশের আরতি দাস ৷ সেই মহিলার চোখ-মুখ জুড়ে একরাশ ক্লান্তি। তিনিও কখনও সখনও ঢুলে পড়ছেন । ওই মহিলা কিশোরের মা । একের পর এক স্টেশনে ট্রেন থামছে ৷ যাত্রীরা ওঠা-নামা করছেন, কিন্তু ওই কিশোরের অন্যদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই , এক মনে পড়ে চলেছে সে ৷

অভাবের সংসার, দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জোগাড় করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে বাড়ি ঘরের স্বপ্ন দেখা অলীক কল্পনা । তাই দিনের কিছুটা সময় কাকদ্বীপ স্টেশন চত্বর, বাকিটা সময় চলন্ত ট্রেন ও রাতে শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরই ঠিকানা স্বামী পরিত্য়ক্তা, ফলবিক্রেতা আরতি দাস ও তাঁর দুই সন্তানের । অর্জুনের পড়াশোনার বেশিরভাগটাই হয় চলন্ত ট্রেনে ফলবিক্রেতা মায়ের পাশে, কিংবা প্ল্য়াটফর্মের ধারে বসে ৷ নেই মাথা গোঁজার ঠাই ।

কাকদ্বীপের বামুনের মোড় এলাকায় বছর আটেক ধরে মরশুমি ফল বিক্রি করেন আরতি দাস । বছর 15 আগে এলাকার যুবক বলাই দাসের সঙ্গে আরতির বিয়ে হয়েছিল । দুই সন্তান হওয়ার পর আরতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী । দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে তখন অথৈ জলে আরতি। আরতির বাপের বাড়ি রায়দিঘির কাশীনগর গ্রামে । বাপের বাড়িতেও টানাটানির সংসার ৷ সেইসময় আরতির দরিদ্র মা মেয়ের হাতে 500 টাকা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ''নিজের মতো করে কিছু করে সংসার চালা । '' সেই শুরু । মরশুমি ফল নিয়ে একসময় কাকদ্বীপ বাজারে বসতেন আরতি । দুই সন্তান তখন খুব ছোট । কিন্তু কোন বাড়ি নেই । তাই দোকানের পাশেই শুইয়ে রাখত । দিনে এভাবে কাটলেও রাত্রি কাটত কাকদ্বীপ প্ল্যাটফর্মে ।

এরপর শিয়ালদা থেকে ফল কেনা শুরু করেন আরতি । ছেলে অর্জুন ততদিনে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে । বর্তমানে স্থানীয় জ্ঞানদাময়ী বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে সে । মেয়ে পূর্ণিমা যায় স্থানীয় ICDS সেন্টারে । প্রতিদিন রাত্রি 8টা নাগাদ ট্রেনে দুই সন্তানকে নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে শিয়ালদার দিকে রওনা দেন আরতি। ছোট মেয়েটি ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়লেও অর্জুন ট্রেনের কামরাতেই পড়াশুনা করে । একদিকে মা ছোট বোনকে নিয়ে বসে থাকে, অন্যদিকে অর্জুন নিজের মত করে চালিয়ে যায় পড়াশোনা ।

মাসখানেক আগে সোশাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি সেলেব্রেটি হয়েছেন রানাঘাট স্টেশনের গায়িকা রানু মণ্ডল । আর সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই সম্প্রতি আরতি ও তাঁর সন্তানদের লড়াই নজরে আসে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের । শুরু হয় খোঁজখবর । অবশেষে সেই কিশোরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত । পড়াশোনার পাশাপাশি ওই পরিবারের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁইও হয়েছে । এবার থেকে পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ঘরে থাকবে ওই পরিবার । মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতাও দেওয়া হবে । লড়াই ছাড়বে না অর্জুন ৷ ভবিষ্যতে সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিতে চায় সে ।

Intro:কাকদ্বীপঃ বাড়ি ঘর নেই। অভাবের সংসার, দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে বাড়ি ঘরের স্বপ্ন দেখা ওদের কাছে অলীক কল্পনা। তাই দিনের কিছুটা সময় কাকদ্বীপ স্টেশান চত্বর, বাকিটা সময় চলন্ত ট্রেন ও রাতে শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরই ঠিকানা আরতি দাস ও তার দুই নাবালক সন্তানের। আর এই অসম পরিস্থিতির সাথে লড়াই করেই জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার চেষ্টা ওদের।

আটটার আপ নামখানা শিয়ালদা লোকল। কাকদ্বীপ স্টেশন থেকে ছাড়ার পর একটি কামরার মধ্যে একটি বছর চোদ্দর ছেলের দেখা মিলবে। কোনদিন সিটের ওপর আবার কোনদিন মেঝেতে বই, খাতা নিয়ে এক মনে পড়াশোনা করে চলেছে ওই কিশোর। পাশের সিটে ঘুমে কাতর বছর সাতের ছোট বোন। আর একপাশে শ্যামলা রঙের মোটা গড়নের এক মহিলা বসে আছেন। বছর ত্রিশের সেই মহিলার চোখ, মুখ জুড়ে একরাশ ক্লান্তি। তিনিও কখনও সখনও ঢুলে পড়ছেন। ওই মহিলা কিশোরের মা। কিন্তু ওই কিশোরের পড়ার কোন ছেদ পড়ছে না। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার একটার পর একটা স্টেশন পেরিয়ে যাচ্ছে। রাতের ট্রেনে যাত্রী কম থাকায় কোন অসুবিধাও হচ্ছে না তার।

কাকদ্বীপের বামুনেরমোড় এলাকার একটি তেঁতুল গাছের তলায় বছর আটেক ধরে মুরসুমি ফল বিক্রি করেন আরতি দাস। বছর পনেরো আগে এলাকার যুবক বলাই দাসের সঙ্গে আরতির বিয়ে হয়েছিল। দুই সন্তান হওয়ার পর আরতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী। দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে তখন অথৈ জলে আরতি। আরতির বাপের বাড়ি রায়দিঘির কাশীনগর গ্রামে। বাপের বাড়িতেও টানাটানির সংসার। কিন্তু সেইসময় আরতির অভাবী মা মেয়ের হাতে পাঁচশো টাকা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, নিজের মতো করে কিছু করে সংসার চালা। সেই শুরু। মুরসুমি ফল নিয়ে একসময় কাকদ্বীপ বাজারে বসতেন আরতি। দুই সন্তান তখন খুব ছোট। কিন্তু কোন বাড়ি নেই। তাই দোকানের পাশেই শুইয়ে রাখত। দিনে এভাবে কাটলেও রাত্রি কাটতো কাকদ্বীপ প্ল্যাটফর্মে।

এরপর শিয়ালদা থেকে ফল কেনা শুরু করেন আরতি। ছেলে অর্জুন ততদিনে প্রাইমারির গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় জ্ঞানদাময়ী বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে সে। মেয়ে পূর্ণিমা পড়ে আইসিডিএস স্কুলে। তবে ঘর না থাকায় ট্রেনের কামরা ভরসা। প্রতিদিন রাত্রি আটটা নাগাদ ট্রেনে দুই সন্তানকে নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন আরতি। ছোট মেয়েটি ট্রেনের সীটে ঘুমিয়ে পড়লেও অর্জুন ট্রেনের কামরাতেই শুরু করে পড়াশুনা। একদিকে মা ছোট বোনকে নিয়ে বসে থাকে অন্যদিকে অর্জুন নিজের মত করে চালিয়ে যায় পড়াশুনা। এইটুকু বয়সে চরম বাস্তবের মুখোমুখি অর্জুন।

যুদ্ধটা অর্জুন ভালই বোঝে। কল্পনার মহাভারতের কুরুক্ষেত্র থেকে শুরু করে বাস্তবের জীবন সংগ্রামের যুদ্ধ। সব ক্ষেত্রেই লড়াকু অর্জুন। তার তাই ছোট থেকেই লড়াই করতে ভালোবাসে বছর বারোর এই কিশোর। যুদ্ধ ভালোবাসে বলেই ভবিষ্যতে বড় হয়ে সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিতে চায় সে।

মাসখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়েছেন রানাঘাট স্টেশানের রানু মণ্ডল। আর সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই সম্প্রতি আরতি ও তার সন্তানদের লড়াই নজরে আসে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের। শুরু হয় খোঁজখবর। অবশেষে সেই কিশোরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত। পড়াশোনার পাশাপাশি ওই পরিবারের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁইও হয়েছে। এবার থেকে পঞ্চায়েতের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরে থাকবে ওই পরিবার। মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতাও দেওয়া হবে পরিবারটিকে।Body:Intro তে পুর কপি দিলাম Conclusion:একটু দেখে নেবেন।
Last Updated : Aug 29, 2019, 5:32 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.