ETV Bharat / state

Suvendu Adhikari: আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর অভয়বাণী শুভেন্দুর - বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর অভয়বাণী

তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাশাপাশি শনিবার দলের তরফ থেকে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সবরকম আইনি সহযোগিতার কথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু ৷ আক্রমণ করেন শাসকশিবিরকেও ৷

Etv Bharat
বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর অভয়বাণী শুভেন্দুর
author img

By

Published : Jul 15, 2023, 11:09 PM IST

বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর অভয়বাণী শুভেন্দুর

বারুইপুর, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি ৷ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে অভয়বাণী দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷

আমতায় আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অধিকারী শনিবার পৌঁছে যান বারুইপুরে দলীয় পার্টি অফিসে। সেখানে আক্রান্ত ও ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ৷ তিনি জানান, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের দায়িত্ব নেবে দল ৷ যতটা সম্ভব পাশে থাকার, থাকবে ৷ এরপর সাংবাদিকদের সামনে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, "জঙ্গলরাজ বর্বরতার চরমসীমায় পৌঁছেছে। কথায় আছে, অতি বাড় বেড়ো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। যা ঘটছে সভ্য সমাজে, স্বাধীন দেশে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। লুঠে নেতৃত্ব দিয়েছে, গুণ্ডার মতো আচরণ করেছে পুলিশ। বিডিওরা চৌর্যবৃত্তিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভোট চুরিতে।"

বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক ক্ষমতা চাই না। রাজ্যকে দেউলিয়া করেছেন। বেতন দিতে পারবেন না। মনু সিংভিরা ডিএ ঠেকাতে মরিয়া। ফলে পুলিশের ক্ষমতা কেড়ে নিতে হবে। আমার বক্তব্য নিয়ে ঘেউ ঘেউ করছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, সাকেত গোখলের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বার্কিং ডগ! আমি বলেছি, সংবিধান মেনে 355 ধারা লাগুর কথা।"

তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তৃণমূলেরও যাঁরা মারা গিয়েছেন সেই সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলের লোকেরা আসলে বোমা বাঁধতে গিয়ে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু ৷ এরপরেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তাঁর ভাঙড়ে না যাবার কারণ হিসাবে শুভেন্দু বলেন, "আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে বিজেপির কর্মী, সমর্থক, এমনকী ভোটাররা দরজা খুলে দিচ্ছেন, কথা বলছেন। ভাঙড়ে আমি যেতেই পারি। আমি অকুতোভয়। কিন্তু বিধায়ক কি দরজা খুলবেন? ওঁর কমিউনিটিকে বোঝানো হয়েছে বিজেপি সাম্প্রদায়িক। নওশাদ আগে তাঁর এলাকার ভোটারদের বোঝাক, বাঁচার জন্য 'নো ভোট টু মমতা' দরকার। বিজেপির বিধায়ক হিসেবে গেলে আমি ভাঙড়ে ভোট চাইব না। বগটুইয়েও আমিই প্রথম 55 জন বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিলাম। মমতা, নওশাদরা পরে গিয়েছিলেন।"

আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের আগে অসমে আস্তানা বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের

এরপরই শুভেন্দু বলেন প্রসঙ্গ তোলেন এসএসকেএম হাসপাতালের ৷ শুভেন্দু জানান, এসএসকেএম হাসপাতালের সাইলেন্স জোনে উনি কীভাবে দেড় ঘণ্টা ধরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন সেই প্রশ্ন মিডিয়ার করা উচিত। পিজিতে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্মদিন পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালটিকে বাড়ির আড্ডাখানায় পরিণত করেছেন ওরা।

বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর অভয়বাণী শুভেন্দুর

বারুইপুর, 15 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি ৷ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে অভয়বাণী দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷

আমতায় আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু অধিকারী শনিবার পৌঁছে যান বারুইপুরে দলীয় পার্টি অফিসে। সেখানে আক্রান্ত ও ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ৷ তিনি জানান, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের দায়িত্ব নেবে দল ৷ যতটা সম্ভব পাশে থাকার, থাকবে ৷ এরপর সাংবাদিকদের সামনে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, "জঙ্গলরাজ বর্বরতার চরমসীমায় পৌঁছেছে। কথায় আছে, অতি বাড় বেড়ো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। যা ঘটছে সভ্য সমাজে, স্বাধীন দেশে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। লুঠে নেতৃত্ব দিয়েছে, গুণ্ডার মতো আচরণ করেছে পুলিশ। বিডিওরা চৌর্যবৃত্তিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভোট চুরিতে।"

বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক ক্ষমতা চাই না। রাজ্যকে দেউলিয়া করেছেন। বেতন দিতে পারবেন না। মনু সিংভিরা ডিএ ঠেকাতে মরিয়া। ফলে পুলিশের ক্ষমতা কেড়ে নিতে হবে। আমার বক্তব্য নিয়ে ঘেউ ঘেউ করছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, সাকেত গোখলের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বার্কিং ডগ! আমি বলেছি, সংবিধান মেনে 355 ধারা লাগুর কথা।"

তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তৃণমূলেরও যাঁরা মারা গিয়েছেন সেই সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলের লোকেরা আসলে বোমা বাঁধতে গিয়ে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু ৷ এরপরেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ তাঁর ভাঙড়ে না যাবার কারণ হিসাবে শুভেন্দু বলেন, "আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে বিজেপির কর্মী, সমর্থক, এমনকী ভোটাররা দরজা খুলে দিচ্ছেন, কথা বলছেন। ভাঙড়ে আমি যেতেই পারি। আমি অকুতোভয়। কিন্তু বিধায়ক কি দরজা খুলবেন? ওঁর কমিউনিটিকে বোঝানো হয়েছে বিজেপি সাম্প্রদায়িক। নওশাদ আগে তাঁর এলাকার ভোটারদের বোঝাক, বাঁচার জন্য 'নো ভোট টু মমতা' দরকার। বিজেপির বিধায়ক হিসেবে গেলে আমি ভাঙড়ে ভোট চাইব না। বগটুইয়েও আমিই প্রথম 55 জন বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিলাম। মমতা, নওশাদরা পরে গিয়েছিলেন।"

আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের আগে অসমে আস্তানা বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের

এরপরই শুভেন্দু বলেন প্রসঙ্গ তোলেন এসএসকেএম হাসপাতালের ৷ শুভেন্দু জানান, এসএসকেএম হাসপাতালের সাইলেন্স জোনে উনি কীভাবে দেড় ঘণ্টা ধরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন সেই প্রশ্ন মিডিয়ার করা উচিত। পিজিতে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্মদিন পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালটিকে বাড়ির আড্ডাখানায় পরিণত করেছেন ওরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.