নরেন্দ্রপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 3 জুলাই: একের পর এক শুটআউটের ঘটনা রাজ্যে ৷ শ্যামনগর, ভাটপাড়া, জগদ্দলের পর এ বার নরেন্দ্রপুরে গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Shootout at Narendrapur One Person Dead) ৷ নরেন্দ্রপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে লস্করপুরে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা দাস ৷ তাঁর ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৷
দক্ষিণ 24 পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার 31 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভোলা দাসকে রবিবার ভোররাতে প্রায় সাড়ে 3টে নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ভোলা দাসের ভাইপোর নজরে বিষয়টি প্রথমে আসে ৷
এ দিন ভোররাতে তিনি দেখেন, ভোলার ঘরের সামনে রক্ত ভেসে রয়েছে ৷ ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন, ভোলা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ৷ এই অবস্থায় বাড়ির বাকিদের ডাকেন ভোলার ভাইপো ৷ ভোলা দাসকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভোলা দাসের পায়ে গুলি লেগেছিল ৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ৷
আরও পড়ুন: Shyamnagar Shootout: ভাটপাড়ার পর ফের শুটআউট শ্যামনগরে, গুলিতে খুন বছর আঠেরোর তরুণ
কিন্তু, এই ঘটনায় একাধিক খটকা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ কারণ, পরিবারের দাবি ভোলা দাসকে বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু, বাড়ির কেউ গুলির শব্দ পাননি ৷ ফলে, বাড়িতেই গুলিবদ্ধ হয়ে থাকলে, কেন কেউ গুলির শব্দ পেল না ? এমনকী, ভোলার পায়ে গুলি লেগেছিল ৷ ফলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি কতক্ষণ পড়ে ছিলেন ? কারণ, রক্তক্ষরণ এটতাই হয়েছে যে, তাঁকে বাঁচানো যায়নি ৷ এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ ভোলা দাসের ঘর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে ৷ সেই আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই ভোলার গুলি লেগেছিল কি না তা জানতে, সেটি ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷