কাকদ্বীপ, 23 জুন : বুধবার ভোররাতে সুন্দরবনের কেঁদো দ্বীপ থেকে 5 নটিক্যাল মাইল গভীরে এফবি সত্যনারায়ণ ও এফবি শ্রীকৃষ্ণ নামে দু'টি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এফবি সত্যনারায়ণ। উত্তাল ঢেউ সামাল দিতে না পেরে ডুবতে শুরু করে ট্রলারটি। দুবে যাওয়া 20 জন মৎস্যজীবীদের মধ্যে 19 জন উদ্ধার করা হয়েছে ৷ বাকি একজন এখনও নিখোঁজ (Rescue 19 and Missing 1 on Fishing Vessel Capsized in Bay of Bengal)।
ট্রলারে ছিলেন 20 জন মৎস্যজীবী ৷ তাঁদের চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি এগিয়ে যায় আশেপাশে মাছ ধরতে থাকা আরও বেশ কয়েকটি ট্রলার। উদ্ধার করে 19 জন মৎস্যজীবীকে ৷ 1 জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম কালিপদ দাস ৷ তিনি কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা ৷ ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধারের জন্য আরও বেশ কয়েকটি ট্রলারকে নামখানা ঘাট থেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার মরশুম শুরুর পর থেকে গত এক সপ্তাহে পরপর তিনটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্বিগ্ন মৎস্যজীবীদের সংগঠন থেকে জেলা মৎস্য দফতর। দাস পরিবারের একমাত্র রোজগেরে নিখোঁজ থাকায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আপনজনেরা। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল এফবি সত্যনারায়ণ।
আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি, নিরাপদে উদ্ধার 18 মৎস্যজীবী
অন্যদিকে, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরছিল এফবি শ্রীকৃষ্ণ নামের ট্রলারটি। কাকদ্বীপ ট্রলার মালিক এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, গভীর সমুদ্রে দু'টি ট্রলারের মুখোমুখি ধাক্কায় একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছে। সেই ট্রলারের 19 জন মৎস্যজীবীদেরকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ এখনও এক মৎস্যজীবী। নিখোঁজ মৎস্যজীবী খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।