সুন্দরবন (দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা), 28 মে : ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জঙ্গল ও নদীর পাড়ে লাগানো নাইলনের ফেন্সিং l এই ফেন্সিং মূলত সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘ ঢোকা আটকানোর জন্য ৷ এই ব্যবস্থা গ্রামাঞ্চলে বাঘের আক্রমণ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে l যশের কারণে শুধুমাত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডিএফও-র অন্তর্গত এলাকায় বন দফতরের 200 মিটারের বেশি নাইলনের ফেন্সিং জাল একেবারে ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে l
আরও পড়ুন : বাসন্তীর ত্রাণশিবিরে মাছ-মাংস না মেলায় বচসা, কাটল কান; গুরুতর আহত 3
দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত নাইলনের ফেন্সিং মেরামতের কাজে নেমে পড়লেন বন দফতরের কর্মীরা l ড্রোন উড়িয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে জঙ্গলের কোন কোন অংশে ফেন্সিং নষ্ট হয়েছে ৷ তারপর সেই নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে l এই কাজের তদারকিতে রয়েছেন দক্ষিণ পরগনা জেলার ডিএফও মিলন মণ্ডল ও এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ কুলতলি বিট অফিস সংলগ্ন চিতুড়ি জঙ্গল এলাকায় গিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে তাঁরা খতিয়ে দেখছেন সব কিছু ৷ এই প্রসঙ্গে ডিএফও বলেন, "আমরা আজ ফিল্ডে এসেছি ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা দেখতে ৷ যে সব জায়গায় নৌকায় বা অন্য কোনও ভাবে যাওয়া যাচ্ছে না, সেই জায়গাগুলো ড্রোনের মাধ্যমে কভার করছি ৷ যাতে দেখা যায়, সমস্ত জায়গাগুলো ঠিক আছে কি না ৷ আর যেখানে ঠিক নেই, সেখানে সব রকম সরঞ্জাম সমেত কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে মেরামতি শুরু করে দিচ্ছে ৷"
এই অঞ্চলের জঙ্গলে যেখানে সাধারণত বাঘ থাকে, সেই অংশে বন দফতরের কুলতলি বিট অফিসের আওতায় তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা আছে l এলাকাগুলির ফেন্সিং যশের দাপটে ছিঁড়ে গিয়েছে l তাছাড়া শুধুমাত্র সুন্দরবনে বন দফতরের 15 টি স্টাফ কোয়ার্টার, বনি ক্যাম্পের একটি জেটিঘাট, যোগাযোগের 8 টি ওয়ারলেস টাওয়ার নষ্ট হয়েছে l পাশাপাশি ভগবতপুরের কুমির প্রকল্পের এনক্লোজার ও বকখালি ডিয়ার পার্কের পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে l