ETV Bharat / state

ভগ্নপ্রায় ঘরে রাত হলেই বসে মদের আসর, বেহাল অবস্থা কুলতলির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের

মাথায় ছাদ নেই ৷ একমাত্র যে জলের কল রয়েছে তাও খারাপ ৷ এই অবস্থাতেই ঘরে ক্লাস করছে খুদে পড়ুয়ারা ৷ এই দৃশ্য দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের 119 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ।

Etv Bharat
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থাতেই চলছে ক্লাস
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 2, 2023, 8:42 PM IST

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থাতেই চলছে ক্লাস

কুলতলি, 2 ডিসেম্বর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ঠিকই তবে তাতে পড়াশোনা করার মতো পরিবেশ নেই ৷ ঘরের চাল ভেঙে গিয়েছে ৷ একমাত্র টিউবওয়েলও খারাপ ৷ রাতের বেলা এখানেই বসে মদের আসর ৷ যার চিহ্নস্বরূপ সকালের ক্লাসঘরে পড়ে থাকে মতের বোতল ও গ্লাস ৷ এমনই দুরাবস্থা দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের 119 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের । এখানেই শেষ নয়, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছে মাত্র একজন সহায়িকা ৷ তিনিই মিড-ডে মিল রান্না করেন, পড়ুয়াদের খাবার দেন আবার পড়ানও ৷ দিদিমণি থাকলেও তিনি নাকি রোজ আসেন না ৷

ঘরের মাথার উপর চাল না-থাকায় যে কোনও আবহাওয়াতেই ক্লাস করা দুষ্কর হয়ে পড়ে ৷ গ্রীষ্মকালে রোদ, বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসা যায় না । শীতকালেও আবার ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থাই নেই । গ্রামের মহিলাদের নিয়ে মিটিংয়ের পর তাদের বাড়ি থেকে জল এনে মিড-ডে মিল রান্না হয় ৷ এছাড়াও ঘরের দরজা জানালা না-থাকায় যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর, গরু, ছাগল-সহ অন্যান্য প্রাণী । এই দৈন্যদশার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল । বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি ।

এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান, পর্যাপ্ত কর্মী নেই । স্কুল ঘর ভাঙা । এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সঠিক পরিবেশ ফেরানো হোক । উন্নতি করা হোক পরিকাঠামোর । যাতে বাচ্চারা সুস্থভাবে পড়াশোনা করে বড় হতে পারে ৷

যদিও এই বিষয়টি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা হালদার । তিনি সবে মাত্র পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন :

1 জিনিস কম দেওয়ার অভিযোগে দিদিমণিকে তালা বন্ধ করে দিলেন অভিভাবকরা

2 শিশুদের স্কুলমুখী করতে বাসের আদলে অঙ্গনওয়াড়ি

3 দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ভাইরাল বারাবনির আদিবাসী কিশোর, প্রতিভা-পালনে সাহায্য চাইল স্কুল

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থাতেই চলছে ক্লাস

কুলতলি, 2 ডিসেম্বর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ঠিকই তবে তাতে পড়াশোনা করার মতো পরিবেশ নেই ৷ ঘরের চাল ভেঙে গিয়েছে ৷ একমাত্র টিউবওয়েলও খারাপ ৷ রাতের বেলা এখানেই বসে মদের আসর ৷ যার চিহ্নস্বরূপ সকালের ক্লাসঘরে পড়ে থাকে মতের বোতল ও গ্লাস ৷ এমনই দুরাবস্থা দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের 119 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের । এখানেই শেষ নয়, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছে মাত্র একজন সহায়িকা ৷ তিনিই মিড-ডে মিল রান্না করেন, পড়ুয়াদের খাবার দেন আবার পড়ানও ৷ দিদিমণি থাকলেও তিনি নাকি রোজ আসেন না ৷

ঘরের মাথার উপর চাল না-থাকায় যে কোনও আবহাওয়াতেই ক্লাস করা দুষ্কর হয়ে পড়ে ৷ গ্রীষ্মকালে রোদ, বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসা যায় না । শীতকালেও আবার ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থাই নেই । গ্রামের মহিলাদের নিয়ে মিটিংয়ের পর তাদের বাড়ি থেকে জল এনে মিড-ডে মিল রান্না হয় ৷ এছাড়াও ঘরের দরজা জানালা না-থাকায় যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর, গরু, ছাগল-সহ অন্যান্য প্রাণী । এই দৈন্যদশার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল । বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি ।

এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান, পর্যাপ্ত কর্মী নেই । স্কুল ঘর ভাঙা । এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সঠিক পরিবেশ ফেরানো হোক । উন্নতি করা হোক পরিকাঠামোর । যাতে বাচ্চারা সুস্থভাবে পড়াশোনা করে বড় হতে পারে ৷

যদিও এই বিষয়টি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা হালদার । তিনি সবে মাত্র পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন :

1 জিনিস কম দেওয়ার অভিযোগে দিদিমণিকে তালা বন্ধ করে দিলেন অভিভাবকরা

2 শিশুদের স্কুলমুখী করতে বাসের আদলে অঙ্গনওয়াড়ি

3 দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ভাইরাল বারাবনির আদিবাসী কিশোর, প্রতিভা-পালনে সাহায্য চাইল স্কুল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.