ভাঙড়, 15 জুলাই: শনিবার রাতে ভাঙড়ে আবার নতুন করে উত্তেজনা! কাঁঠালিয়ায় যাওয়ার পথে শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের আটকে দিল পুলিশ। ভাঙড়ে 144 ধারা জারি থাকার কারণে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন রাতে কাঁঠালিয়া যাচ্ছিলেন শওকতরা।
ভোগালি-2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব কাঁঠালিয়ায় বাড়ি মৃত তৃণমূল নেতার। এই জায়গাটি পড়ে কাশীপুর থানার অধীনে। আর এদিকে কাশীপুর থানা এলাকায় 144 ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তিতেই পুলিশ শওকতদের আটকেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশকর্মীদের প্রশ্ন করতে থাকেন। শওকত মোল্লা জানাচ্ছেন, গত 7 তারিখ রাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করেছিল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীরা আইএসএফ সমর্থক বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের। কয়েকদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর আজ, শনিবার সকালে ওই তৃণমূলের বুথ সভাপতি মৃত্যু হয়েছে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের বক্তব্য, তাঁরা দলীয় কর্মীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা শেষকৃত্যে যেতে চাইছি, তাও পুলিশ যেতে দিচ্ছে না। তাই আমরা এখানে বসে প্রতিবাদ করছি। পরিবারের লোকেরা বলছে, আমরা না-গেলে শেষকৃত্য করবে না।" ভাঙড় ব্রিজের কাছে তাঁদের বাধা দেওয়া পুলিশের তরফে। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। প্রতিবাদে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসে পড়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।
জানা যাচ্ছে, কাঁঠালিয়ায় তৃণমূল বুথ সভাপতি শেখ মোসলেমের বাড়িতে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছেছে। সেই খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন শওকত, আরাবুলরা। শবদেহবাহী গাড়ির পিছন পিছনই যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। শবদেহবাহী গাড়িটি কাঁঠালিয়ার দিকে যেতে দেওয়া হলেও, পিছনেই থাকা শওকতদের গাড়িকে বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে দলের দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেন আরাবুল, 'তাজা নেতা'র কথায় জল্পনা