কাকদ্বীপ, 22 জানুয়ারি: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা 2023 । গঙ্গাসাগরে পুণ্য লাভের আশায় এসেছিল মহারাষ্ট্রের এক বৃদ্ধা (pilgrim drowned in Muriganga river)। গঙ্গাস্নান করে আর বাড়ি ফেরা হল না । গত সোমবার দক্ষিণ 24 পরগনার কচুবেড়িয়া এলসিডি জেটি ঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে এক অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধা মহিলার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় । এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় সাগর থানাতে । পুলিশ এসে অজ্ঞাত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায় ৷ এরপর বৃদ্ধার পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছিল সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ । অবশেষে হ্যাম রেডিয়োর তৎপরতায় বৃদ্ধার পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ বৃদ্ধার নাম সিন্ধু অশ্রু জাঙ্গারে (78) বাড়ি মহারাষ্ট্রে।
হ্যাম রেডিয়ো-র তৎপরতায় অবশেষে বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিওর সদস্যরা ৷ পরিবারের লোকজন রবিবার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন । বৃদ্ধার মৃতদেহ সনাক্তকরণ করে বৃদ্ধার ছেলে । মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর কাকদ্বীপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বৃদ্ধার । পরিবারের এক সদস্য সোমনাথ গজনন রাম জাঙ্গারে বলেন, "গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি দর্শনের জন্য পরিবারের কয়েকজন সদস্যরা আমরা সাগরে আসি । সাগরের স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পথে কচুবেরিয়া এলসিডি ঘাটের কাছে আমার কাকিমা নিখোঁজ হয়ে যায় । পরের দিন আমরা সাগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি ৷ পরিবারের 40 জন সদস্য মিলে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি কাকিমার । আমাদের কাছে হ্যাম রেডিওর এক সদস্য গিয়ে আমার কাকিমার ছবি দেখিয়ে বলে এনাকে চেনেন কিনা । আমরা পরনের জামা কাপড় দেখে সহজেই চিনতে পারি ।"
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! শবরীমালা থেকে ফেরার সময় পথদুর্ঘটনায় মৃত 8 পুণ্যার্থী !
পশ্চিমবঙ্গ হ্যাম রেডিয়োর ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস বলেন, "সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধার মৃতদের ছবি আমরা পাই এবং বৃদ্ধার পরিচয় জানার জন্য আমরা চেষ্টা করি অবশেষে মহারাষ্ট্রের অঞ্চল গ্রামে ওই বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়। বৃদ্ধার একটি ছেলে বিশাখাপট্টনামে কাজ করে । গঙ্গাসাগর মেলার সময় বৃদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে আসে কিন্তু কোন কারণবশত পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় । গঙ্গাসাগর মন্দির চত্বর পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় কিন্তু কিভাবে বৃদ্ধা, নদীর জলে পড়ে গেল তা হতবাক। আমরা গভীরভাবে শোকাহত ।"