ক্যানিং, 8 জুলাই: ক্য়ানিং কাণ্ডের (Canning Triple Murder Case) 24 ঘণ্টা পরও খুনিদের নাগাল পায়নি পুলিশ ৷ বস্তুত, ছ'জনের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কারও সন্ধান মেলেনি বলেই দাবি সূত্রের ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৷ তাঁদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের পাকড়াও করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে ৷
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ক্রমশ বেড়ে চলা জনপ্রিয়তাই কাল হয়েছিল নিহত পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝির (38) ৷ খুব সম্ভবত, তাঁর রাজনৈতিক উত্থান রুখতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি ৷ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, খুনিরা স্বপনকে খুন করতেই এসেছিল ৷ ভূতনাথ প্রামাণিক (33) এবং ঝন্টু হালদার (33) হয়তো তাদের নিশানা ছিল না ৷ কিন্তু, যেহেতু তাঁরা স্বপনের সঙ্গে ছিলেন, সেই কারণেই তাঁদেরও খুন করা হয় ৷ আততায়ীরা আসলে ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শীকেই বাঁচিয়ে রাখতে চায়নি ৷ পুলিশের একটা অংশও এমনটা করছে বলে দাবি সূত্রের ৷
আরও পড়ুন: TMC leader killed: তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ 3 জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুন ক্যানিং-এ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রি কচুয়া এলাকায় তিন যুবককে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয় ৷ নিহতদের মধ্য়ে স্বপন মাঝি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ৷ বাকি দু'জন এলাকারই তৃণমূল কর্মী ৷ তাঁরা তিনজনে দলেরই একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময়েই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় ৷
এই ঘটনার পর রফিকুল-সহ মোট ছ'জনের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশিও চালানো হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যেই সিআইডি ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে ৷ শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ৷