রায়দিঘি, 29 মে : মণি নদীর বাঁধে নতুন করে ফাটলের ফলে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে রায়দিঘির বিভিন্ন গ্রামে ৷ জলমগ্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আকাশপথে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন । গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে যে যত দ্রুত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ নদীর বাঁধ মেরামতি করার জন্য ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুন্দরবনের নদীগুলিতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে ৷ বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকে বানভাসি হয়েছে রায়দিঘি বিধানসভার বহু গ্রাম । কুমোরপাড়া পঞ্চায়েতের ছাতুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে ৷ নদীর জলস্তর কিছুটা কমলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামোতিতে হাত লাগান স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা । শনিবার সকালে হঠাৎ করে মণি নদীর মাটির বাঁধ ভেঙে আবারও গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে ৷ আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে । প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামবাসীদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । নোনা জল ঢোকায় শুরু হয়েছে জলকষ্ট । নোনা জলে কার্যত ডুবে রয়েছে পানীয় জলের নলকূপগুলি । কুমোরপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ এখন জল কষ্টে ভুগছেন ।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব বাঁধ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হবে ৷ যে সব গ্রাম এখনও পর্যন্ত জলের তলায় রয়েছে সেসব জায়গা থেকে জল বের করার কাজ চলছে । গ্রামে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি রয়েছে ৷ মাটির বাড়িতে থাকা মানুষকে ফ্লাড সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যশ ও নদীতে জলোস্ফীতির কারণে কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
আরও পড়ুন : 15 মিনিটের সাক্ষাতে ক্ষতির রিপোর্ট পেশ মমতার, বাংলা টুইটে সাহায্যের আশ্বাস মোদির