নামখানা, 25 নভেম্বর: ভালো করে মুখে বুলি ফোটার বয়স হয়নি । বয়স আড়াইয়ের দোরগোড়ায় । তার মধ্যেই বাংলার কবিতা, ইংরেজি মাস, জাতীয় সংগীত, মহান ব্যক্তি, পশু-প্রাণীর নাম ঠোঁটস্থ অহেঞ্জিতার । তার এই প্রতিভার স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস (India Book of Records) । ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল নামখানার শিশু কন্যা (Namkhana Child's Record) ।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের মদনগঞ্জ এলাকার মেয়ে অহেঞ্জিতা মিস্ত্রি । ইতিমধ্যেই অহেঞ্জিতার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মেডেল, সার্টিফিকেট-সহ অন্যান্য পুরস্কার । এই বয়সেই ছবি দেখে 30টি প্রাণীর নাম বলতে পারে সে । কুড়িটি পাখির নাম এবং ছবি দেখে 25 জন মহান ব্যক্তিত্বের নাম মুখস্থ রয়েছে তার । এখানেই শেষ নয়, সেই সঙ্গে ছ'টি বাংলা কবিতা বলতে পারা, ইংরেজিতে ছ'টি সিজন ও 12টি মাসের নাম এবং জাতীয় সংগীত গাইতে পারা-সহ একাধিক দক্ষতার অধিকারী এই বয়সেই । সে কারণেই মাত্র আড়াই বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে তার ।
অহেঞ্জিতার এই সাফল্যে গর্বিত তার বাবা-মা, পরিবারের লোকজন । গর্বিত সমগ্র নামখানাবাসীও । অহেঞ্জিতার মা বিজলী দেবী বলেন, "এটা আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে নিয়ে । সেই স্বপ্ন পূরণ হল । আমি খুব খুশি । ও যখন খুব ছোট ছিল, তিন-চার মাস বয়স, তখন থেকেই শেখাতাম । ওর সঙ্গে গল্প করতাম, বিভিন্ন জিনিস চেনাতাম ।"
এক বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই অহেঞ্জিতা অনেকটা সড়গড় হয়ে যায় । অল্পক্ষণের মধ্যেই অনেক কিছু মনে রেখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তৈরি হয় ওর । দেড় বছর বয়স থেকেই বড়দের মতো করে কথাবার্তা, জিনিস চেনার ক্ষমতা চলে আসে অহেঞ্জিতার মধ্যে । পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই অবাক হয়ে যেতেন অহেঞ্জিতার প্রতিভা দেখে ।
আরও পড়ুন: ঠোঁটস্থ 25টি কবিতা, দেড় বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম ফারহা জামিয়ার
অহেঞ্জিতার মায়ের কথায়, "আমাকে অনেকেই ডেকে জিজ্ঞাসা করত, সত্যিই ওর বয়স দেড় বছর কিনা । তখন থেকেই আমরা বুঝে গিয়েছি, ওর মধ্যে এই প্রতিভাটা আছে, ওর স্মৃতিশক্তি খুব উন্নত ।" তারপর থেকেই ছোট্ট মেয়ের জন্য পরিশ্রম করতে শুরু করেন সকলেই । একাধিক ভাষায় বিভিন্ন জিনিস শেখানো শুরু হয় অহেঞ্জিতাকে । আগামিদিনে মায়ের স্বপ্নপূরণ করার জন্য তাকে প্রস্তুত করা হবে বলে জানান অহেঞ্জিতার মা ।