কলকাতা, 25 জুন: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর আগে ভাঙড়ের বিধায়ককে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ককে।
এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন আইএসএফ প্রার্থীরা । এমন অভিযোগই করা হয়েছিল আইএসএফের তরফে। অন্যদিকে, পালটা অবশ্য তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, আইএসএফের কর্মীদের হাতে তাদের দলের দু'জন সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজন আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। নওশাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন আরাবুল ইসলামও। যদিও নওশাদ পালটা তাঁর নিজের প্রাণ সংশয় রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। রাজ্য সরকারকে তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন ।
নওশাদের অভিযোগ, রাজ্যের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়নি । শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক । চিঠি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও । অন্যদিকে, ভাঙড়ে হিংসার ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকী বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করেন। সেক্ষেত্রেও নিজের প্রাণ সংশয় রয়েছে বলে আদালতে আর্জি জানান নওসাদ । শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট নওশাদকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ এদিন সেই মোতাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। আট জওয়ানকে নওশাদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে নদিয়া থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু অভিষেকের, 5 জুলাই পর্যন্ত ঘুরবেন একাধিক জেলায়
অন্যদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । সেই মতো কেন্দ্রের কাছে মোট 822 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এখনও পর্যন্ত 337 কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে । যার মধ্যে 22 কোম্পানি ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে । তবে বাকি 485 কোম্পানি বাহিনীর জন্য ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে রিমাইন্ডার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।