ETV Bharat / state

শিকল ছাড়া উপায় নেই, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সুস্থতার আশায় পরিবার - পাথরপ্রতিমা

পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দারোগাপুরের বাসিন্দা মন্টু পুস্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে রাখেন শিকল বেঁধেই ৷ নাহলেই ভারী অশান্তি শুরু করে বছর কুড়ির শুভজিৎ পুস্তি ৷ দিনমজুর মন্টু ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেন না টাকার অভাবে ৷ তাই তাঁর আবেদন, সরকার বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে ছেলেটা সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে ৷

পাথরপ্রতিমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ৷
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না ৷ তাই শিকল দিয়েই বাঁধা থাকে ছেলে ৷
author img

By

Published : Jul 20, 2021, 5:16 PM IST

পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই : সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দারোগাপুর ৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে শুভজিৎকে নিয়ে সেখানেই মন্টু পুস্তির সংসার । যৎসামান্য রোজগারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় ৷ ছেলের চিকিৎসা করবেন কী করে ? চিকিৎসা নেই, তাই ছেলেও সেরেও ওঠেনি ৷ তবে বাবা-মায়ের আশা, এখনও কোনও মতে সাহায্য জোগাড় করে ছেলেটাকে যদি ডাক্তার দেখানো যায় তাহলে হয়তো তাকে সারিয়ে তোলা যাবে ৷ তাহলেই আর শিকল বেঁধে রাখতে হবে না ৷

মন্টু পেশায় রিকশাচালক ৷ কলকাতায় রিকশা চালাতেন । দেড় বছর বয়স থেকেই শুভজিতের মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা দেয় । প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রেই নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে অনটনের মধ্যে বড়সড় কোনও জায়গায় আর নিয়ে যেতে পারেননি মন্টু ৷

ছেলের অস্বাভাবিকত্ব বাড়তে থাকায় কলকাতায় রিকশা চালানোর কাজ ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন মন্টু । কারণ ছেলেকে একা তার মা সামলাতে পারেন না ৷ তাই এলাকাতেই কাজ খুঁজতে হয় মন্টুকে ৷ এখন মন্টু দিনমজুর ৷ সেখান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় ৷ ছেলেকে বড়, ভাল কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো এবং চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না বাবা ৷ তাই মন্টু ও তাঁর স্ত্রী ভবানী সরকারি বা অন্য যেকোন রকমের সাহায্যে আশায় রয়েছেন ৷

গ্রামেরই স্কুল শিক্ষক নারায়ণ মণ্ডল জানান, পারিবারিক অভাবের কারণে 6-7 বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হয়নি শুভজিৎ ৷ নারায়ণ নিজে তাকে স্কুলে ভর্তি করেন ৷ কিন্তু শুভজিতের মধ্যে তো তখন থেকেই অস্বাভাবিকত্ব শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ স্কুলে ভর্তি করিয়েও তাকে অক্ষরজ্ঞানটুকু দেওয়া যায়নি ৷

যত দিন যায় পরিস্থিতি আরও বিগড়াতে থাকে ৷ প্রায় প্রতিদিনই শুভজিৎ কোনও না কোনও কাণ্ড ঘটাতে থাকছিল ৷ জিনিসপত্র ভাঙচুর তো নিত্যদিনের সমস্যা ৷ পাড়ার লোকেদের বাড়িতে, দোকানপাটে গিয়ে জিনিসপত্র ভেঙে দিয়েছে সে অনেক সময়ই ৷ গ্রামের মানুষও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন । তাই বছর কুড়ির ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ছাড়া উপায় ছিল না ৷ গত 7-8 মাস ধরে টাকা সে বাড়িতে শিকলবন্দিই হয়ে রয়েছে ৷

টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না ৷ তাই শিকল দিয়েই বাঁধা থাকে ছেলে ৷

এই অবস্থায় শুভজিতের বাবা-মা তো বটেই প্রতিবেশীরাও আবেদন জানাচ্ছেন, সরকার বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি পাশে দাঁড়ায় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা যাবে শুভজিৎতে ৷ সুস্থ হয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে পারবে সে । সেদিকেই তাকিয় আশায় বুক বাঁধছে পুস্তি পরিবার ।

আরও পড়ুন : চিকিৎসার খরচ নেই, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে সামলাতে ভরসা শিকলই

পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই : সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দারোগাপুর ৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে শুভজিৎকে নিয়ে সেখানেই মন্টু পুস্তির সংসার । যৎসামান্য রোজগারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় ৷ ছেলের চিকিৎসা করবেন কী করে ? চিকিৎসা নেই, তাই ছেলেও সেরেও ওঠেনি ৷ তবে বাবা-মায়ের আশা, এখনও কোনও মতে সাহায্য জোগাড় করে ছেলেটাকে যদি ডাক্তার দেখানো যায় তাহলে হয়তো তাকে সারিয়ে তোলা যাবে ৷ তাহলেই আর শিকল বেঁধে রাখতে হবে না ৷

মন্টু পেশায় রিকশাচালক ৷ কলকাতায় রিকশা চালাতেন । দেড় বছর বয়স থেকেই শুভজিতের মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা দেয় । প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রেই নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে অনটনের মধ্যে বড়সড় কোনও জায়গায় আর নিয়ে যেতে পারেননি মন্টু ৷

ছেলের অস্বাভাবিকত্ব বাড়তে থাকায় কলকাতায় রিকশা চালানোর কাজ ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন মন্টু । কারণ ছেলেকে একা তার মা সামলাতে পারেন না ৷ তাই এলাকাতেই কাজ খুঁজতে হয় মন্টুকে ৷ এখন মন্টু দিনমজুর ৷ সেখান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় ৷ ছেলেকে বড়, ভাল কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো এবং চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না বাবা ৷ তাই মন্টু ও তাঁর স্ত্রী ভবানী সরকারি বা অন্য যেকোন রকমের সাহায্যে আশায় রয়েছেন ৷

গ্রামেরই স্কুল শিক্ষক নারায়ণ মণ্ডল জানান, পারিবারিক অভাবের কারণে 6-7 বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হয়নি শুভজিৎ ৷ নারায়ণ নিজে তাকে স্কুলে ভর্তি করেন ৷ কিন্তু শুভজিতের মধ্যে তো তখন থেকেই অস্বাভাবিকত্ব শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ স্কুলে ভর্তি করিয়েও তাকে অক্ষরজ্ঞানটুকু দেওয়া যায়নি ৷

যত দিন যায় পরিস্থিতি আরও বিগড়াতে থাকে ৷ প্রায় প্রতিদিনই শুভজিৎ কোনও না কোনও কাণ্ড ঘটাতে থাকছিল ৷ জিনিসপত্র ভাঙচুর তো নিত্যদিনের সমস্যা ৷ পাড়ার লোকেদের বাড়িতে, দোকানপাটে গিয়ে জিনিসপত্র ভেঙে দিয়েছে সে অনেক সময়ই ৷ গ্রামের মানুষও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন । তাই বছর কুড়ির ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ছাড়া উপায় ছিল না ৷ গত 7-8 মাস ধরে টাকা সে বাড়িতে শিকলবন্দিই হয়ে রয়েছে ৷

টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না ৷ তাই শিকল দিয়েই বাঁধা থাকে ছেলে ৷

এই অবস্থায় শুভজিতের বাবা-মা তো বটেই প্রতিবেশীরাও আবেদন জানাচ্ছেন, সরকার বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি পাশে দাঁড়ায় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা যাবে শুভজিৎতে ৷ সুস্থ হয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে পারবে সে । সেদিকেই তাকিয় আশায় বুক বাঁধছে পুস্তি পরিবার ।

আরও পড়ুন : চিকিৎসার খরচ নেই, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে সামলাতে ভরসা শিকলই

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.