রায়দিঘি, 6 মার্চ : মা-বাবার দুশ্চিন্তা কাটিয়ে অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফিরল দক্ষিণ 24 পরগনার রায়দিঘির দুই ডাক্তারির পড়ুয়া অর্কপ্রভ বৈদ্য ও অর্ঘ্য মাঝি । তাঁরা ছিলেন ইউক্রেনের স্পর্শকাতর এলাকা রাজধানী কিভে (Medical students return home in Raidighi from war-torn Ukraine) ৷
2019 সালে কিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়তে যায় তাঁরা । রায়দিঘির অর্ঘ্য মাঝি সেখানে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আর অর্কপ্রভ বৈদ্য তৃতীয় বর্ষের । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আটকে পড়েন বহু ভারতীয় পড়ুয়া । ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয় ভারত সরকার । সরকারের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের দেশের মাটিতে ফেরানোর জন্য শুরু হয় 'মিশন গঙ্গা'। মিশন গঙ্গার মাধ্যমে হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে দেশের মাটিতে ফেরানোর কাজ চলছে (Medical Students Return from Ukraine) ।
আরও পড়ুন : Return from Ukraine : কৃষ্ণগঞ্জের বাড়ি ফিরেও অরিন্দমের কানে যেন বাজছে মিসাইলের শব্দ
ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফোনে পরিজনদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অর্ঘ্য মাঝি । পরিবারের সদস্যরা বলেন, "যখন থেকে ইউক্রেনের রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলাম । ছেলের চিন্তায় দু'চোখের পাতা এক করতে পারিনি । ছেলে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি পেলাম ।" অন্যদিকে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অর্ঘ্য । বলেন, "কিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আমার চতুর্থ বর্ষ চলছে ৷ বাকি রয়েছে আর মাত্র দু'বছর ৷ কিন্তু যেভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে আমার মনে হয় না আর ইউক্রেনে পড়াশোনার মত পরিবেশ থাকবে । ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তায় রয়েছি । ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন আমাদের মতো হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দিক ।"
আরও পড়ুন : Russia-Ukraine War : আজ রাতে হাঙ্গেরি থেকে রওনা দেবে ‘অপারেশন গঙ্গা’র শেষ বিমান
রায়দিঘির কাশিনগর এর বাসিন্দা অর্কপ্রভ বৈদ্য শনিবার রাতে বাড়িতে আসে । ছেলে বাড়ি ফিরতে ভিড় জমিয়েছে ছোট বেলা কার বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের ৷ বাড়িতে খুশির হওয়া । অর্কপ্রভ শোনালেন বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার হয়ে কীভাবে বাড়ি এসছে সেই হাড় হিম করা গল্প । কীভাবে ইউক্রেনের সুন্দর শহর কিভ মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরে পরিণত হয়েছে ৷ কিন্তু তার মুখেও শোনা গেল ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা ৷