কাকদ্বীপ, 12 জুন : শিয়ালদা দক্ষিণশাখা । ট্রেন যাতায়াত করছে । ঠিক তখনই চোখে পড়ল একটি ঘটনা । ট্রেন লাইনের ধারে পড়ে আছে এক ব্যক্তির কাটা মাথা । সেই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর দেওয়া হয় পুলিশে । শুরু হয় তদন্ত । তদন্ত এগোতেই বোঝা যায় আসল ঘটনা । স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই এই দশা ব্যক্তির, অন্তত তেমনই মনে করছে পুলিশ ।
মৃতের নাম কার্তিক গঙ্গোপাধ্যায় (35) । কাকদ্বীপ রেল ষ্টেশন থেকে তাঁরই কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ । দেহটি উদ্ধারের পর পুলিশি তদন্ত এগোতেই গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত কার্তিকের স্ত্রী দীপালি গঙ্গোপাধ্যায়, দিদি শ্যামলী মণ্ডল ও জামাইবাবু স্বপন মণ্ডলকে। জেরার মুখে পড়ে তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে খবর (Man allegedly killed by brother in law)।
জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিদি শ্যামলী মণ্ডল ও জামাইবাবু স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে কাকদ্বীপে থাকেন । অভিযোগ, সেখানেই থাকতে থাকতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে স্বপনবাবুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে (Extramarital Affair)। সেই বিষয়টি নজরে পড়ে যায় কার্তিকের । তখনই সম্পর্ক শুরু হয় টানাপোড়েন । এরপর বৌকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে হাওড়াতে চলে যাবেন বলে স্থির করেন কার্তিক । তখনই অশান্তির মাত্রা পৌঁছয় চরমে । বেঁকে বসেন স্ত্রী । স্বপনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় । তারপর জামাইবাবু ও শ্যালক দু'জনে মিলে রেললাইনের ধারে মদ্যপান করেন । তখনই সুযোগ বুঝে শ্যালকের গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্ত স্বপন । এরপর দেহটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয় সে ।
আরও পড়ুন : Troller Death : ট্রলারডুবিতে মৃত সাগরের দুই ভাই
ধৃতদের রবিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয় । এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় বলেন, "আমার বড় মামার দেহ উদ্ধার হয়েছে । উনি চার বছর ধরে আমাদের বাড়ি থাকতেন । আমিও মনে করছি আমার বাবা, আমার মামাকে মেরেছে । জামাইষষ্ঠীর আগেও মামাকে হুমকি দিয়েছিল ।"