কাকদ্বীপ, 29 অক্টোবর: দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকার স্ট্যান্ড ৷ তাও আবার 3.9 সেন্টিমিটারের ৷ সবথেকে ছোট এই ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়েই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল 17 বছরের কোয়েল পুরকাইত । কোয়েল দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপের সুভাষনগরের বাসিন্দা । দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে ৷
বর্তমানে কোয়েল কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছে । ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকার দিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল তার । কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে ভিন্ন রাজ্যে থাকেন । মাত্র 3 বছর বয়স থেকে কোয়েল ছবি আঁকার শুরু । এরপরে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে ছবি আঁকা শেখে সে । সেই ছবি আকার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়েই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করল কোয়েল । তার এই কৃতিত্বে খুশি পরিবার । কোয়েলের এই কৃতিত্বের খবর পাওয়ার পর থেকেই তাকে সম্বর্ধনা জানাতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকার মানুষজন । তবে কোয়েল ছবি আঁকার সুবাদে এই এলাকায় পরিচিত ও বেশ জনপ্রিয়ও ।
কোয়েলের কথায়, "দু'মাস আগে দেশলাই কাঠি দিয়ে 3.9 সেন্টিমিটারের একটি ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করি ৷ দিল্লিতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস সংস্থা কাছে সেটা পাঠাই আমি । এরপর কয়েকদিন আগে ওই সংস্থা থেকে আমার কাছে একটি ইমেল আসে ৷ সেই সংস্থা থেকে জানায় যে আমার এই স্ট্যান্ড জায়গায় করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে । আমার এই কৃতিত্বের পিছনে আমার ছবি আঁকার স্যার দেবরাজ বেরার ভীষণরকম অবদান রয়েছে । সবথেকে ছোট ছবি আঁকার স্ট্যান্ড তৈরি করার বুদ্ধি তার থেকেই এসেছে আমায় মাথায় । আমরা ছবি আঁকার বহু বড় বড় স্ট্যান্ড দেখেছি ৷ কিন্তু ছোট স্ট্যান্ড আমরা দেখিনি । এরপর তিন থেকে চার মাসের অধ্যাবসায়ের পর আমি এই প্রতিভা রপ্ত করতে পেরেছি ।"
আরও পড়ুন: 6 বছর বয়সেই 'লক্ষ্য'ভেদ, এশিয়া ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল রাজস্থানের খুদে
আগামিদিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ছবি আঁকা নিয়েই পড়াশোনা করতে চায় এই ছাত্রী । অন্যদিকে মেয়ের এই সাফল্যে খুশি বাধ মানছে না মিঠু পুরকাইতের ৷ তিনি বলেন, "মেয়ের এই সাফল্যে পরিবারের লোকজনেরা সকলেই খুব খুশি । ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতে বিশেষ পারদর্শী ছিল কোয়েল । পরিবারের পক্ষ থেকে কোয়েলকে ছবি আঁকার বিষয়ে কোনওদিন কোনও বাধা দেওয়া হয়নি ।" এ বিষয়ে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, কোয়েল কাকদ্বীপের গর্ব । কোয়েলের এই সাফল্যে খুশি তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ৷