ভাঙড়, 14 অগস্ট: ঘুটঘুটে অন্ধকার ৷ তার মধ্যেই রয়েছেন প্রসূতি মা থেকে অন্যান্য রোগীরা ৷ টর্চ জ্বেলে রোগী দেখছেন চিকিৎসক ও নার্সরা ৷ প্রায় দশ ঘণ্টা ধরে বিদ্য়ুৎহীন রইল ভাঙড় 2 নম্বর ব্লকের জিরানগাছা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তথা গ্রামীণ হাসপাতাল0(Jirangacha health center of Bhangar 2 block without electricity for 10 hours) ৷
সমস্যার সূত্রপাত শনিবার সকালে । শেষমেশ বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরল বেশ রাতে । তার মাঝে কেটে গিয়েছে দশ ঘণ্টা ! এলাকার একমাত্র এই হাসপাতালে নেই জেনারেটর ব্যবস্থাও । যেটি প্রথমে ছিল তা দেখভালের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে । এদিকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে নষ্ট হতে বসেছে করোনা-সহ বিভিন্ন টিকা । তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগীরাও । এদিন সকাল থেকেই টিপটপ বৃষ্টি পড়তেই লোডশেডিং হয়ে পড়ে হাসপাতালে । কার্যত সব ওয়ার্ড বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে । কখনও মোমবাতি জ্বেলে, কখনও বা জানালা দিয়ে আসা আলোর উপরে ভরসা করেই চলে চিকিৎসা ।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের বাড়িতে আগে প্ররিস্রুত জল পৌঁছে দিতে বললেন অভিষেক
বিদ্যুৎ না থাকায় প্রবল গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন হাসপাতলের সকলেই । ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে বসে থাকতে দেখা যায় অনেককেই । বিদ্যুৎ না থাকায় জলের অভাব দেখা দেয় হাসপাতালে । দূরের টিউবওয়েল থেকে জল এনে কাজ চালাতে হচ্ছে । একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ।
এই নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হিরন্ময় বোস বলেন, "স্থানীয় পাওয়ার স্টেশন জানানো হয়েছে ৷ ওনারা বলেছেন লাইনে কিছু রিপেয়ার ও রিনোভেশনের কাজ চলার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে একদিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ৷ হাসপাতালে সবে নতুন জেনারেটর বসেছে, তার ওয়্যারিংয়ের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলে সেটা চালানো যায়নি ৷ পুরনো যে জেনারেটরটা রয়েছে সেটা 2 থেকে 3 ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উপযোগী ৷ কিন্তু একটানা এতক্ষণ সেটা চালানো যায় না দেখভালের অভাবের জন্য ৷"
আরও পড়ুন: কুসংস্কার! ওঝার ঝাড়ফুঁক, সাপে কাটা খুদের মৃ্ত্যু