ক্যানিং, 23 জুলাই: স্ত্রীকে গুলি করে খুন। পরে পুলিশের কাছে গল্প ফেঁদেও শেষ রক্ষা হল না অভিযুক্ত স্বামীর । গত বুধবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় গৃহবধূ ছালিমা লস্কর সর্দারের মৃতদেহ ৷ ঘটনাস্থল দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাট পুকুরিয়া গ্রাম ৷ মৃতার স্বামী পুলিশকে জানায়, অন্য কেউ এসে তাঁর স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে । পরে জেরার স্ত্রীকে গুলি করার কথা স্বীকার করে ছালিমার স্বামী বাবুরালি সর্দার ।
তদন্ত এগোতেই সত্যি ঘটনা সামনে আসে ৷ রবিবার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ৷ পুকুরিয়া গ্রাম থেকে গত বুধবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় ছালিমার দেহ ৷ তদন্তে স্বামী বাবুরালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ক্যানিং থানার পুলিশ ৷ তাঁর কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই বাবুরালি সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জেরায় বাবুরালি স্বীকার করে নেয়, সে নিজেই স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ছালিমা এবং বাবুরালির মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি লেগেই থাকত ৷ সংসারের নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা লাগত ৷ এমনকী পণের জন্যও বাবুরালি স্ত্রী ছালিমাকে চাপ দিত বলে জানা গিয়েছে ৷ নিত্য অশান্তি থেকেই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ ৷
বছর সাতেক আগে ছালিমা লস্করের সঙ্গে বাবুরালি সর্দারের বিয়ে হয় ৷ দম্পতির পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ৷ বুধবার আচমকা রাত দুটো নাগাদ গুলির শব্দ শুনতে পায় প্রতিবেশীরা ৷ পুলিশের দাবি, তখন থেকেই স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বাবুরালি মিথ্যে গল্প ফাঁদতে শুরু করে ৷ পরে জানা যায়, সে নিজেই গুলি করে খুন করেছে ৷ এদিকে প্রতিবেশী এবং পুলিশকে জানায়, দুষ্কৃতীরা এসে গুলি চালিয়ে তাঁর স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে ৷ যদিও, বেশিদিন এই মিথ্যে বলে পার পাওয়া গেল না । পুলিশের জালে অভিযুক্ত স্বামী ।
আরও পড়ুন: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে 'খুন' স্বামীর, পলাতক অভিযুক্ত