ETV Bharat / state

Firecrackers Seized: এবার বারুইপুরে উদ্ধার 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি, তিন মাস ব্য়বসা নিষিদ্ধ করল পুলিশ - বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ

একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে পুলিশ টহল চলছে চারিদিকে ৷ জেলায় জেলায় মিলছে নিষিদ্ধ বাজি ৷ এবার বারুইপুরে পুলিশি তল্লাশিতে পাওয়া গেল 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি ৷ সেইসঙ্গে আগামী তিন মাস তৈরি ও মজুদ রাখা বাজি বিক্রয় করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।

Firecrackers Seized
বারুইপুরে উদ্ধার 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি
author img

By

Published : May 23, 2023, 6:14 PM IST

বারুইপুরে উদ্ধার 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি

বারুইপুর, 23 মে: একের পর এক বাজি বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৎপর হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। যে সকল অবৈধ বাজি কারখানাগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হচ্ছে বাজি তৈরির সরঞ্জাম ও কেজি কেজি বারুদ। সোমবার দক্ষিণ 24 পরগনার অন্যতম বাজির আঁতুরঘর চম্পাহাটির হাড়ালে অভিযান চালিয়ে প্রায় 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল বারুইপুর থানার পুলিশ। সেইসঙ্গে আগামী তিন মাস তৈরি ও মজুত রাখা বাজি বিক্রয় করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।

বারুইপুর চাম্পাহাটির হাড়ালে আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে পৌঁছে গিয়ে এদিন কড়া বার্তা দেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও থানার আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। চম্পাহাটিতে প্রায় 40 হাজার মানুষ এই বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই এমন পুলিশি নির্দেশিকার পর কাজ হারালেন সকলে। চাম্পাহাটির হাড়ালে প্রায় 150টি বাজির দোকান রয়েছে ৷ যা তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পাশাপাশি বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে চম্পাহাটিতে চলছে মাইকিং।

বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যে একটা বজবজ, একটা এগরা মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু পুলিশের উচিত বাজি নিষিদ্ধ না-করে এই স্থায়ী সমাধান সূত্র বার করা। নিষিদ্ধ করার পর লুকিয়ে চুরিয়ে কোথাও না কোথাও এই ব্যবসা চলবে। এতে আরও দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এতগুলো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিকল্প ব্যবস্থা বের করতেই হবে।"

আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা, বাজি গুদামে ভয়াবহ আগুনে মৃত বেড়ে 2

বাজি কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র শংকর মণ্ডল বলেন, "1996 সালে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরিবেশবান্ধব বাজির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বেশ কয়েকজনকে ৷ এরপর থেকে 2020 সাল পর্যন্ত ভারত সরকারের দেওয়া লাইসেন্স নিয়েই বৈধভাবেই ব্যবসা চলছিল চম্পাহাটিতে ৷ এরপর 2020 সালের পর থেকে সেই লাইসেন্স আর রিনিউয়াল হচ্ছে না ৷ ফলে এখন অবৈধ হয়ে গিয়েছে, সমস্ত ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সকল ব্যবসায়ী দায়ী নয়। কিন্তু আইনের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। মৃদুল দেবনাথ নামে এক ব্যবসায়ী তিনি বলেন, "আগামী প্রজন্ম এই বাজি ব্যবসার দিকে আর এগোবে না। প্রশাসনের এই নির্দেশ আমাদেরকে মানতে হবে ৷ কিন্তু তিন মাসের জন্য প্রায় 40 হাজার মানুষ কাজ হারাল।"

বারুইপুরে উদ্ধার 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি

বারুইপুর, 23 মে: একের পর এক বাজি বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৎপর হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। যে সকল অবৈধ বাজি কারখানাগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হচ্ছে বাজি তৈরির সরঞ্জাম ও কেজি কেজি বারুদ। সোমবার দক্ষিণ 24 পরগনার অন্যতম বাজির আঁতুরঘর চম্পাহাটির হাড়ালে অভিযান চালিয়ে প্রায় 12 হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল বারুইপুর থানার পুলিশ। সেইসঙ্গে আগামী তিন মাস তৈরি ও মজুত রাখা বাজি বিক্রয় করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।

বারুইপুর চাম্পাহাটির হাড়ালে আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে পৌঁছে গিয়ে এদিন কড়া বার্তা দেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও থানার আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। চম্পাহাটিতে প্রায় 40 হাজার মানুষ এই বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই এমন পুলিশি নির্দেশিকার পর কাজ হারালেন সকলে। চাম্পাহাটির হাড়ালে প্রায় 150টি বাজির দোকান রয়েছে ৷ যা তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পাশাপাশি বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে চম্পাহাটিতে চলছে মাইকিং।

বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যে একটা বজবজ, একটা এগরা মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু পুলিশের উচিত বাজি নিষিদ্ধ না-করে এই স্থায়ী সমাধান সূত্র বার করা। নিষিদ্ধ করার পর লুকিয়ে চুরিয়ে কোথাও না কোথাও এই ব্যবসা চলবে। এতে আরও দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এতগুলো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিকল্প ব্যবস্থা বের করতেই হবে।"

আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা, বাজি গুদামে ভয়াবহ আগুনে মৃত বেড়ে 2

বাজি কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র শংকর মণ্ডল বলেন, "1996 সালে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরিবেশবান্ধব বাজির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বেশ কয়েকজনকে ৷ এরপর থেকে 2020 সাল পর্যন্ত ভারত সরকারের দেওয়া লাইসেন্স নিয়েই বৈধভাবেই ব্যবসা চলছিল চম্পাহাটিতে ৷ এরপর 2020 সালের পর থেকে সেই লাইসেন্স আর রিনিউয়াল হচ্ছে না ৷ ফলে এখন অবৈধ হয়ে গিয়েছে, সমস্ত ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সকল ব্যবসায়ী দায়ী নয়। কিন্তু আইনের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। মৃদুল দেবনাথ নামে এক ব্যবসায়ী তিনি বলেন, "আগামী প্রজন্ম এই বাজি ব্যবসার দিকে আর এগোবে না। প্রশাসনের এই নির্দেশ আমাদেরকে মানতে হবে ৷ কিন্তু তিন মাসের জন্য প্রায় 40 হাজার মানুষ কাজ হারাল।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.