গঙ্গাসাগর, 8 ডিসেম্বর: আগামী জানুয়ারি মাসে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সাগরে ভিড় জমায় কয়েক লাখ পুণ্যার্থী। নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হয় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ । কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কোটালের জোড়া ফলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর উপকূল। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে মেলার প্রস্তুতির কাজে (Gangasagar Mela Preparation Pause)।
ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলার 2 নম্বর রাস্তার সোজাসুজি স্নানের ঘাট বরাবর বিস্তীর্ণ সমুদ্রতট সংলগ্ন বাঁধ। আগামী জানুয়ারি মাসে গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে নতুন করে কংক্রিটের স্নানঘাট তৈরির পাশাপাশি বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু গত শনিবার ও রবিবার বৃষ্টির সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের জেরে নতুন করে স্নানঘাট তৈরির জন্য কংক্রিটের ঢালাই ও ঘাটের দু'পাশে বাঁধ তৈরির জন্য শাল-বল্লা বসিয়ে মাটি ও বালির বস্তা ফেলা হলেও সমস্তটাই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়েকঘণ্টার চেষ্টা, কুলতলিতে বনদফতরের বাগে এল দক্ষিণরায়
সমুদ্র জলের স্রোতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের দাবি, যেভাবে সমুদ্র দিনের পর দিন এগিয়ে আসছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে আগামিদিনে গঙ্গাসাগর মন্দিরও অতীতের মন্দিরের মতন সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এমনকি প্রবল জলচ্ছ্বাসের জেরে মেলা প্রাঙ্গণে যাত্রী শেড তৈরির জন্য মজুত করা প্রচুর বাঁশও ভেসে গিয়েছে সমুদ্রে। হাতে আর মাত্র একমাস। ক্ষতির ধাক্কা সামলে উঠে এত কম সময়ের মধ্যে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরি করাটাই এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, নিম্নচাপ ও কোটালের জেরে কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে মেলা প্রস্তুতির কাজ ৷ কিন্তু সেচ দফতর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালানো হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণ লাগোয়া সমুদ্র বাঁধের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে সেচ দফতর। গঙ্গাসাগর মেলা পুণ্যার্থীদের কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন।