রায়দিঘি, 20 অগস্ট: গত 16 অগস্ট বাংলাদেশের মহিপুর থেকে 11 জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল 'স্বাধীন ফিশিং' নামে একটি ট্রলার (Bangladeshi Trawler)। বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়ে। উত্তাল সমুদ্রে ডুবে যায় বাংলাদেশি ট্রলারটি (Fishing Vessel Capsized) ।
ট্রলারে থাকা 11 জন মৎস্যজীবীই ভেসে যায় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ৷ ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে ট্রলারটি ৷ দক্ষিণ 24 পরগনা রায়দিঘির বেশ কয়েকটি ট্রলার সেই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে উপকূলের দিকে আসছিল। বাংলাদেশি ট্রলারের মৎস্যজীবীদের ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন রায়দিঘির মৎস্যজীবীরা। উদ্ধার করে মৎস্যজীবীদের রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 11 জন মৎস্যজীবীই চট্টগ্রামের মহিপুরে বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নাম পরিচয় রাজ্য মৎস্য দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বর্তমানে সকল মৎস্যজীবী সুস্থ রয়েছেন ৷ খুব শীঘ্রই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পডুন: বঙ্গোপসাগরের ট্রলার ডুবি, উদ্ধার 13 মৎস্যজীবী, নিখোঁজ 5
প্রসঙ্গত, গতকাল বঙ্গোপসাগরে উত্তাল সমুদ্র উলটে যায় 'এফবি সত্যনারায়ণ' নামে একটি এদেশীয় ট্রলার। উত্তাল ঢেউয়ে নিখোঁজ হয়ে যান 18 জন মৎস্যজীবী। গতকালই উদ্ধারকার্যে নেমে 13 জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়। বাকি 5 জন নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চলতে থাকে ৷ 24 ঘণ্টা পর শনিবার কেঁদো দ্বীপের কাছেই বাঘের চরে নিখোঁজ 5 মৎস্যজীবীর সন্ধান পায় উদ্ধারকারী ট্রলার।