কাকদ্বীপ, 11 জুলাই : ছবিটা ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় । ডুবন্ত ট্রলারের মাঝিরা বাঁচার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন । আর বৃহস্পতিবার শিরোনামে পৌঁছাল সেই ট্রলারেরই আর একটি দৃশ্য । শনিবার এফ বি নয়ন ডুবে গেছিল বঙ্গোপসাগরে । সেই ট্রলারের নাবিক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ দাস । পেশায় মৎস্যজীবী রবীন্দ্রনাথকে যেভাবে উদ্ধার করা হল তা কার্যত রূপকথারই নামান্তর ।
সেদিন দুর্ঘটনায় পড়ার পর থেকেই চারটি ট্রলারের প্রায় 24 জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন । উদ্ধারকাজ চললেও প্রায় আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন সকলে । কিন্তু আজ সকালে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেল কাকদ্বীপ নারায়ণপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথকে । এই পাঁচদিন জলেই ভেসেছিলেন তিনি । সঙ্গে ছিল না লাইফ জ্যাকেট থেকে শুরু করে অন্য আধুনিক সরঞ্জাম ।
দুর্ঘটনার পর স্রোতের টানে ভাসতে ভাসতে ঢুকে গেছিলেন বাংলাদেশের জলসীমায় । আজ সকালে হঠাৎই 'কিছু' নজরে আসে চট্টগ্রাম উপকূলে কর্মরত নাবিকদের । দ্রুত সেদিকে নজর দেন বাকিরা । বোঝা যায় জলে ভাসতে থাকা 'কিছু' আসলে একজন মানুষ । তাঁকে উদ্ধার করার জন্য শুরু হয় তোড়জোড় । জাল ফেলে যথাসাধ্য দ্রুত উদ্ধার করা হয় তাঁকে । তখনও কিছুটা অচৈতন্য ছিলেন উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তি । আস্তে আস্তে জ্ঞান ফেরে । তখনই জানা যায় আসল তথ্য । জানা যায়, শনিবার দুর্ঘটনার মধ্য পড়া এফ বি নয়নেই ছিলেন তিনি । সেই দিন থেকে ক্রমাগত জলে ভাসছেন । ভাসতে ভাসতেই চলে এসেছেন ।
রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধার করার পর স্বভাবতই খুশি উদ্ধারকারীরা । আর রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধার করে এস আর শিপিংয়ের একটি জাহাজ । সেই জাহাজের ক্যাপ্টেন এস এম নাসিরুদ্দিন বলছেন, "সকাল 11 টা নাগাদ একজনকে ভাসতে দেখা যায় । কাছে যেতেই বোঝা গেছিল তিনি বেঁচে আছেন । এরপরই দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করি ।" ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রনাথকে বাড়িতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে । প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে ।