ডায়মন্ড হারবার, 31 মে : জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরা হল না পুলিশ আধিকারিক সমীর দাসের ৷ ডায়মন্ড হারবার থানায় কর্মরত এএসআই-য়ের আকস্মিক মৃত্যুতে স্বভাবতই শোকস্তব্ধ পরিববারের লোকজন ৷ এদিকে নিহত এএসআই-য়ের স্ত্রী শুক্লা দেবীর আশঙ্কা, তাঁর স্বামী দুর্ঘটনায় নয়, বরং এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে (Family suspect conspiracy behind the death of ASI in Diamond Harbour) ৷
ডায়মন্ড হারবার থানায় কর্মরত এএসআই সমীর দাসের মৃতদেহ সম্প্রতি উদ্ধার হয় উত্তর 24 পরগনার একটি পেট্রল পাম্প থেকে । শুরু থেকেই এই মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করছে তাঁর পরিবার । মৃত সমীর দাসের আদি বাড়ি হাওড়া শিবপুরের গণেশ চ্যাটার্জী লেনে । স্ত্রী শুক্লা দেবী জানান, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার খবর আসে তাদের কাছে । তবে তাঁর সন্দেহ এই দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে । কেননা তাঁর স্বামীর ঘাড়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা কোনওভাবেই অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে না ৷ একইসঙ্গে যে পেট্রল পাম্পে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সিসিটিভি না থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি । ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফ থেকে লোকজন রওনা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের উদ্দেশ্যে ।
আরও পড়ুন : ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ আধিকারিকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
চলতি সপ্তাহে জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল নিহত পুলিশ আধিকারিকের । তবে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসায় শোকাহত গোটা পরিবার । নিহত সমীর দাসের স্ত্রী শুক্লা দাস জানান, দিন চার-পাঁচেক আগেই বাড়িতে এসেছিলেন । কাজের চাপে ছুটি পান না, তাই এবারে জামাই ষষ্ঠীতে বাড়িতে আসবেন বলে গিয়েছিলেন । মেয়ের শ্বশুরবাড়ি মুর্শিদাবাদে । এবারে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে ষষ্ঠী পালনের পরিকল্পনা করেছিলেন । আজ সকালে শিবপুর থানা থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় ।
শুক্লাদেবীর মোবাইলে চার্জ ছিল না বলে ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে প্রাথমিকভাবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি ৷ পরবর্তীতে স্বামীর এক সহকর্মীকে কল করে বিশদে ঘটনার বিবরণ শোনেন তিনি । শুক্লাদেবীর আশঙ্কা, কর্মস্থল থেকে এত দূরে পেট্রল পাম্পে মৃত্যু, এর পিছনে গভীর কোনও রহস্য রয়েছে । পাশাপাশি পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ক্যামেরা অচল, এগুলো নিশ্চিত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটানো হয়েছে বলেই তিনি দাবি করেন । তিনি জানান, থানার আধিকারিকরা এর তদন্ত অবশ্যই করবে । তাতে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে ।