জয়নগর, 12 ডিসেম্বর: আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে পর্যাপ্ত কনকচূড় ধান চাষ না-হওয়ায় কপালে ভাঁজ মোয়া কারিগর বা ব্যবসায়ীরা। চড়া দামে ধান কিনে খই ভাজতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। সুস্বাদু মোয়া তৈরির অন্যতম প্রধান দু'টি উপকরণ হল নলেন গুড় এবং কনকচূড় ধানের খই ৷ চলতি বছর আবহাওয়া খারাপ থাকায় এই ধানের চাষ কম হওয়ায় খই জোগাড় করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা (moa businessmen are facing lots of problems) ৷
দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর এলাকার বহড়ুর ও শ্রীপুর গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতেই শীতের মরশুমে এই কনকচূড় ধান থেকে খই তৈরি করা হয়। কিন্তু এবছর কনকচূড় ধানের চাষ কম হওয়ার খই তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ব্যবসায়ীরা । ব্যবসায়ীদের কথায় এমনিতেই স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কনকচূড় ধান চাষ রাজ্যে বেশ কম হয় ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার কুলপি, কাকদ্বীপ এলাকাতেই মূলত হয় এই ধানের চাষ ৷ এই ধানের খইকে মাটিতে শুকিয়ে ও শিশিরে এক রাত ভিজিয়ে তারপর মোয়া তৈরির জন্য প্রস্তুত করতে হয় ৷
আরও পড়ুন: এগিয়ে আসছে না নব প্রজন্ম, শীতের মরশুমে টান জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়
এ প্রসঙ্গে খই ব্যবসায়ী অরবিন্দু দাসকুরি বলেন, "আমি দীর্ঘ 50 বছর ধরে এই খই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত । বছরের এই তিন মাস খই তৈরি করি এবং বাকি দিনগুলি জয়নগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যবসায়ীদের খই পাইকারি বিক্রি করি । মোয়ার আসল স্বাদ পেতে গেলে প্রধান উপকরণ এই কনকচূড় ধানের খই। এই চাষের ফলন এবার অনেকটাই কম।"
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর কনকচূড় ধানের চাষ কম হওয়ায় মোয়ার গুণমান বজায় রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মোয়া কারিগররা ৷ কমেছে মোয়া তৈরির পরিমাণ । তাই এবার বাজারে জয়নগরের মোয়া কতটা মিলবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন ৷