বারুইপুর, 8 সেপ্টেম্বর : জমি নিয়ে বিবাদের জেরে আক্রান্ত হলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রাক্তন কর্মী সুনীল কুমার নস্কর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ গতকাল বারুইপুর থানার শাঁখারিপুকুর এলাকার ঘটনা ৷ অভিযোগ, সালিশি সভায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রাক্তন কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ৷ সালিশি সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতারা । তাঁদের সামনেই স্থানীয় যুবকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷
শাঁখারিপুকুরে সুনীলবাবুর আট বিঘা জমি রয়েছে ৷ সম্প্রতি, ওই জমিতে সংস্কারের কাজ করতে গেলে স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য তাতে বাধা দেয় ৷ অভিযোগ, সুনীলবাবুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেও জমিতে কাজ করতে বাধা দেয় ক্লাবের সদস্যরা ৷ এরপর জমির অধিকার চেয়ে সুনীলবাবু মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পাশাপাশি বারুইপুরের পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের একাধিক জায়গায় দরবার করেন ৷ গতকালই SP-র নির্দেশে বারুইপুর থানার পুলিশ ও এলাকার বিধায়ক নির্মলচন্দ্র মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, যুব তৃণমূল নেতা বিভাস সর্দার দু'পক্ষের মধ্যে বিবাদ মেটাতে আলোচনায় বসেছিলেন ৷ অভিযোগ, আলোচনা চলাকালীন স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য সুনীলবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে ৷ লাঠির আঘাতে সুনীলবাবুর আত্মীয় ইন্দ্রজিৎ কয়ালের মাথা ফেটে যায় ৷
সুনীলবাবু বলেন, "জমি আমার । কিন্তু সেখানে কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় ৷ SP-র নির্দেশে ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসি ৷ সেখানে আমার আত্মীয়কে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ৷ "
অন্যদিকে, বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেন,"আলোচনায় বসা হয়েছিল৷ যদিও সেটা ফলপ্রসূ হয়নি ৷ আমরা চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব করা যায় ৷ " ঘটনার পর থেকে সুনীলবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ৷ বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনীলবাবু ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷