ETV Bharat / state

Gangasagar Mela 2023: দ্বিগুণ পুণ্য, গঙ্গাসাগরে এবার বাংলার 5 পুণ্যভূমি দর্শনের সুযোগ

এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় উপরি পাওনা বাংলার পাঁচ বিখ্যাত শক্তিপীঠ দর্শন (Gangasagar Mela 2023) ৷ সাগরে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি দেখতে পারবেন এই মন্দিরগুলি ৷ কোন পাঁচ মন্দির দেখতে পাওয়া যাবে এখানে ? জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন ৷

Etv Bharat
গঙ্গাসাগরে বাংলার মন্দির
author img

By

Published : Jan 10, 2023, 11:58 AM IST

গঙ্গাসাগরে বাংলার পাঁচ মন্দির

গঙ্গাসাগর, 10 জানুয়ারি: বাংলার পর্যটন ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল নতুন উদ্যোগ ৷ গঙ্গাসাগরে ফুটিয়ে তোলা হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাঁচটি মন্দিরের রেপ্লিকা ৷ যার মধ্যে রয়েছে কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও মালদার জহুরা কালী মন্দির (5 Famous Temple of Bengal in Gangasagar) ৷ এবারের গঙ্গাসাগর মেলার প্রধান আকর্ষণ এটাই ৷ পুণ্যস্নানের পাশাপাশি এই পাঁচটি মন্দিরও পুণ্যার্থীরা দর্শন করতে পারবেন (Devotees will Watch 5 Famous Temple of Bengal in Gangasagar From this Year) ৷

আর কয়েকটা দিন পর গঙ্গাসাগর হয়ে উঠবে মিনি ভারত । কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, দেশের সব প্রান্তের মানুষ ভিড় জমান ৷ এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষজন বাংলার এই পবিত্রভূমিতে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান করতে আসেন ৷ বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে আসেন ।

এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গঙ্গাসাগরেই মিলবে আরও পাঁচটি পুণ্যভূমি দেখার সুযোগ ৷ জেলার একাধিক শিল্পী এবং আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা নির্মাণ করেছেন বাংলার পাঁচ বিখ্যাত মন্দিরের রেপ্লিকা ৷ এবারের সাগরমেলায় কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও মালদার জহুরা কালী এই পাঁচ মন্দিরকে একত্রে তুলে ধরা হচ্ছে 'বাংলার মন্দির' নামে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর, থাকছে শিশুদের আলাদা বিভাগ

মেলা মাঠের চার নম্বর রাস্তার মাঝামাঝি একটি এলাকায় গড়ে উঠেছে এই পাঁচ মন্দির । নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা ও দক্ষিণ 24 পরগনার বাছাই করা 60 জন শিল্পী দিনরাত এক করে ফুটিয়ে তুলছেন এই অপরূপ শিল্পকর্ম । মন্দিরগুলিকে আধুনিক রঙিন আলো ও ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে, যা দেখে পুণ্যার্থীদের মনে হবে রেপ্লিকা নয় আসল মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা । এছাড়াও অনলাইনে সরাসরি আসল তীর্থক্ষেত্র থেকে পুজো দেখানোর ব্যবস্থাও থাকছে এখানে ।

'বাংলার মন্দির'-এর এই কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছেন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত ও তাঁর দলের শিল্পীরা । এই বিষয়ে দীপঙ্কর দত্ত বলেন, "দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় বহু পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান ৷ বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । বাংলার মন্দিরের মাধ্যমে বাংলার পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের দরবারে প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের । তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মোট 40 লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মন্দিরগুলি তৈরি হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতির দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী

মেলার শুরুর আগে থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলার পাঁচ মন্দির । বহু পুণ্যার্থীরা ইতিমধ্যেই দর্শন করে ফেলেছেন তা । আলকা চৌধুরী নামে এক পর্যটকের কথায়, দ্বিতীয় বছর গঙ্গাসাগর মেলায় এসে এত সুন্দর বাংলার পাঁচটি মন্দিরের মডেল দেখতে পাব আমরা ভাবিনি । বাংলার এই প্রসিদ্ধ পাঁচটি মন্দিরের মধ্যে বেশ কয়েকটি মন্দির আমি দর্শন করেছি সেই মন্দিরের মতোই এই মন্দিরগুলি তৈরি করা হয়েছে । খুব ভালো হয়েছে ৷ গঙ্গাসাগরে এসে এ বছর খুব ভালো লাগছে ।"

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা ঘোষণা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মেলার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে । গঙ্গাসাগরে আগে একটি মাত্র অস্থায়ী হেলিপ্যাড ছিল এখন তা বাড়িয়ে তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য বাংলার প্রসিদ্ধ পাঁচটি মন্দিরকে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।"

10 থেকে 17 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা । পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে 14 তারিখ সকাল 6টা 53 মিনিটে । পুণ্যস্নানের সময় থাকবে 24 ঘণ্টা । এছাড়াও পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য গঙ্গাসাগরে 2 হাজার 250টি সরকারি বাস, 500টি বেসরকারি বাস চালু থাকবে । এছাড়াও 4টি বার্জ, 32টি ভেসেল ও 100টি লঞ্চ এই সময়ে চলবে । এক টিকিটে গঙ্গাসাগরে যাওয়া-আসা করা যাবে । 10টি ফায়ার স্টেশন ও 25টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব করতে উদ্যোগী প্রশাসন

গঙ্গাসাগরে বাংলার পাঁচ মন্দির

গঙ্গাসাগর, 10 জানুয়ারি: বাংলার পর্যটন ব্যবস্থার সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল নতুন উদ্যোগ ৷ গঙ্গাসাগরে ফুটিয়ে তোলা হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাঁচটি মন্দিরের রেপ্লিকা ৷ যার মধ্যে রয়েছে কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও মালদার জহুরা কালী মন্দির (5 Famous Temple of Bengal in Gangasagar) ৷ এবারের গঙ্গাসাগর মেলার প্রধান আকর্ষণ এটাই ৷ পুণ্যস্নানের পাশাপাশি এই পাঁচটি মন্দিরও পুণ্যার্থীরা দর্শন করতে পারবেন (Devotees will Watch 5 Famous Temple of Bengal in Gangasagar From this Year) ৷

আর কয়েকটা দিন পর গঙ্গাসাগর হয়ে উঠবে মিনি ভারত । কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, দেশের সব প্রান্তের মানুষ ভিড় জমান ৷ এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষজন বাংলার এই পবিত্রভূমিতে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান করতে আসেন ৷ বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে আসেন ।

এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গঙ্গাসাগরেই মিলবে আরও পাঁচটি পুণ্যভূমি দেখার সুযোগ ৷ জেলার একাধিক শিল্পী এবং আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা নির্মাণ করেছেন বাংলার পাঁচ বিখ্যাত মন্দিরের রেপ্লিকা ৷ এবারের সাগরমেলায় কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও মালদার জহুরা কালী এই পাঁচ মন্দিরকে একত্রে তুলে ধরা হচ্ছে 'বাংলার মন্দির' নামে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর, থাকছে শিশুদের আলাদা বিভাগ

মেলা মাঠের চার নম্বর রাস্তার মাঝামাঝি একটি এলাকায় গড়ে উঠেছে এই পাঁচ মন্দির । নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা ও দক্ষিণ 24 পরগনার বাছাই করা 60 জন শিল্পী দিনরাত এক করে ফুটিয়ে তুলছেন এই অপরূপ শিল্পকর্ম । মন্দিরগুলিকে আধুনিক রঙিন আলো ও ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে, যা দেখে পুণ্যার্থীদের মনে হবে রেপ্লিকা নয় আসল মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা । এছাড়াও অনলাইনে সরাসরি আসল তীর্থক্ষেত্র থেকে পুজো দেখানোর ব্যবস্থাও থাকছে এখানে ।

'বাংলার মন্দির'-এর এই কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছেন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত ও তাঁর দলের শিল্পীরা । এই বিষয়ে দীপঙ্কর দত্ত বলেন, "দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় বহু পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান ৷ বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । বাংলার মন্দিরের মাধ্যমে বাংলার পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের দরবারে প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের । তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মোট 40 লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মন্দিরগুলি তৈরি হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতির দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী

মেলার শুরুর আগে থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলার পাঁচ মন্দির । বহু পুণ্যার্থীরা ইতিমধ্যেই দর্শন করে ফেলেছেন তা । আলকা চৌধুরী নামে এক পর্যটকের কথায়, দ্বিতীয় বছর গঙ্গাসাগর মেলায় এসে এত সুন্দর বাংলার পাঁচটি মন্দিরের মডেল দেখতে পাব আমরা ভাবিনি । বাংলার এই প্রসিদ্ধ পাঁচটি মন্দিরের মধ্যে বেশ কয়েকটি মন্দির আমি দর্শন করেছি সেই মন্দিরের মতোই এই মন্দিরগুলি তৈরি করা হয়েছে । খুব ভালো হয়েছে ৷ গঙ্গাসাগরে এসে এ বছর খুব ভালো লাগছে ।"

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা ঘোষণা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মেলার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে । গঙ্গাসাগরে আগে একটি মাত্র অস্থায়ী হেলিপ্যাড ছিল এখন তা বাড়িয়ে তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে । রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য বাংলার প্রসিদ্ধ পাঁচটি মন্দিরকে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।"

10 থেকে 17 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা । পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে 14 তারিখ সকাল 6টা 53 মিনিটে । পুণ্যস্নানের সময় থাকবে 24 ঘণ্টা । এছাড়াও পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য গঙ্গাসাগরে 2 হাজার 250টি সরকারি বাস, 500টি বেসরকারি বাস চালু থাকবে । এছাড়াও 4টি বার্জ, 32টি ভেসেল ও 100টি লঞ্চ এই সময়ে চলবে । এক টিকিটে গঙ্গাসাগরে যাওয়া-আসা করা যাবে । 10টি ফায়ার স্টেশন ও 25টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে ।

আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব করতে উদ্যোগী প্রশাসন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.