ডায়মন্ড হারবার, 28 জুন : ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের (Fake Vaccination Case) মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করলেন তার নিজের মামা । ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের গোপালদাস পাড়ার বাসিন্দা সন্দীপ মান্না জানান, কলকাতায় তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীর জন্য নানা অছিলায় মোটা টাকা হাতিয়ে নেয় ভাগ্নে দেবাঞ্জন । এমনকি তাঁকে রাজ্যপাল এবং একাধিক দফতর থেকে সার্টিফিকেটও পাঠিয়েছিল দেবাঞ্জন ।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল পান্ডা হিসাবে নাম জড়িয়েছে দেবাঞ্জনের ৷ এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা । তদন্ত শুরু করে একের পর এক দেবাঞ্জনের ভুয়ো কীর্তিকলাপ সামনে আসে । দেবাঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার পর তার মামা সন্দীপ মান্নার অভিযোগ, যেসব সার্টিফিকেট দেবাঞ্জন তাঁকে পাঠিয়েছিল, সেই সব সার্টিফিকেটই ভুয়ো হতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা । ভাগ্নের এহেন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছেন তিনি ।
ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সন্দীপ মান্না পেশায় চিত্রশিল্পী । নাট্য পরিচালক হিসাবেও জেলায় বিশেষ পরিচিতি রয়েছে তাঁর । 2019-এর জুন মাসে তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে কলকাতায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করার কথা জানিয়েছিল ভাগ্নে দেবাঞ্জন । সেই অছিলায় মামার কাছ থেকে 50 হাজার টাকা দাবি করে বসে ভাগ্নে । পরে অবশ্য 35 হাজার টাকাতেই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে রাজি হয় সে । সেই বছরেরই 11 জুন কলকাতার গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয় । এরপর একদিন দেবাঞ্জন তাঁর মামাকে জানায়, রাজ্যপাল তাঁর আঁকা ছবি দেখে একটি শংসাপত্র পাঠাতে চেয়েছেন । কিছুদিনের মধ্যে তদানীন্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি শংসাপত্র সন্দীপবাবুকে দেওয়া হয় ৷ এরপর জুলাই মাসে তাঁকে রাজ্য চারুকলা ভবনের সদস্য করা হয়েছে বলে জানায় দেবাঞ্জন । 22 জুলাই থেকে তাঁকে মাসিক সাড়ে এগারো হাজার টাকা ভাতারও ব্যবস্থা করা হয় । কিন্তু 2021-এর এপ্রিল থেকে সেই ভাতা বন্ধ হয়ে যায় ।
এরপর ভাগ্নের ভ্যাকসিন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম ছোটে মামার । তাঁর দাবি, রাজ্যপাল ও অন্যান্য জায়গা থেকে যে সার্টিফিকেটগুলো এসেছিল সেগুলো ভুয়ো হতে পারে । বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভাগ্নে দেবাঞ্জন প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি ।
আরও পড়ুন : দেবাঞ্জন-কাণ্ডে পরস্পরকে দোষারোপ তৃণমূলের দুই নেতার, তাল ঠুকছে বিজেপি