বিষ্ণুপুর, 13 অগস্ট : বেহাল জাতীয় সড়কের বলি বছর চল্লিশের এক ফল ব্যবসায়ী ৷ মৃতের নাম আবদুর রশিদ হালদার ৷ তিনি ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ শুক্রবার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত 117 নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের বেহাল দশার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : Road Accident : দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পথ দুর্ঘটনা, মৃত 1
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে ডায়মন্ডহারবারের দিকে যাচ্ছিলেন আবদুর ৷ তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকের গতি মাত্রাতিরিক্ত না হলেও বেহাল রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারান আবদুর ৷ গর্তে বাইকের চাকা পড়ে যাওয়ায় বেসামাল হয়ে যান তিনি ৷ বাইকে উল্টে যায় ৷ আর আবদুর ছিটকে রাস্তার উপর পড়েন ৷ দ্রুত গতিতে আসা পণ্যবাহী ট্রাক তাঁকে পিষে বেরিয়ে যায় ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুরের ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, 117 নম্বর জাতীয় সড়কে এমন দুর্ঘটনা হামেশাই ঘটে ৷ প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক পরিণতিও হয় বেশ কিছু মানুষের ৷ অথচ সব জেনেও দ্রুত সড়ক মেরামতির কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ৷ যার খেসারত দিতে হয় আবদুরের মতো মানুষকে ৷ অভিযোগ, এদিন দুর্ঘটনার প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ৷ ততক্ষণ আবদুরের দেহ সেখানেই পড়ে থাকে ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পুলিশ এলে তাদের ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ ৷
আরও পড়ুন : Road Accident : বহরমপুরে লরির ধাক্কায় মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের
এদিকে, প্রথমে দুর্ঘটনা, পরে বিক্ষোভ ৷ এই দুইয়ের জেরে দীর্ঘক্ষণ কার্যত স্তব্ধ হয়ে থাকে 117 নম্বর জাতীয় সড়কের এই অংশ ৷ ফলে দিনের ব্যস্ত সময়ে ঘোর বিপাকে পড়েন কাজে বেরনো মানুষজন ৷ পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় ৷ এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল ৷