পৈলান, 18 ফেব্রুয়ারি: দলবদলের মরশুমে রক্তক্ষরণ অব্য়াহত তৃণমূল কংগ্রেসের ৷ প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নেতা-মন্ত্রীর গেরুয়াশিবিরে যোগদানের খবরে সরগরম রাজ্য়রাজনীতি ৷ বৃহস্পতিবার যা আরও খানিকটা উসকে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দক্ষিণ 24 পরগনার পৈলানের সভা ৷ এদিন দলনেত্রীর সভায় গরহাজির রইলেন জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ, এক বিধায়ক এবং এক মন্ত্রী ৷
বৃহস্পতিবার পৈলানে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভা। প্রসঙ্গত, এদিনই কাকদ্বীপে সভা করেন অমিত শাহ ৷ তার পালটা হিসাবে মমতা-অভিষেকের এই কর্মসূচি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷
অথচ এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চেই অনুপস্থিত থাকলেন এই জেলা থেকেই নির্বাচিত তৃণমূলের দুই সাংসদ, একজন মন্ত্রী এবং একজন বিধায়ক। গরহাজির ছিলেন যাদবপুরের সাংসদ এবং অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। একইসঙ্গে গরহাজির ছিলেন জেলার বিধায়ক এবং রাজ্যের সুন্দবন উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়।
আরও পড়ুন: অভিষেককে কেন রাজনীতি এনেছেন, ব্যাখ্যা দিলেন মমতা
এ বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রতিমা মণ্ডল ইটিভি ভারতকে জানান, তাঁর অনুপস্থিতির সঙ্গে জল্পনার কোনও অবকাশ নেই ৷ নেই অন্তর্দ্বন্দ্বের কোনও সম্ভাবনাও ৷ প্রতিমা বলেন, ‘‘গত 5 ফেব্রুয়ারি আমার শ্বশুরমশাই মারা গিয়েছেন। তাঁর পারলৌকিক কাজকর্মের জন্য আমি এখন আমার কলকাতার বাড়িতে আছি। আমার দলের জেলা সভাপতি এবং নেতৃত্বকে জানিয়েই সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমার অনুপস্থিতি নিয়ে জলঘোলা করার কোনও কারণ নেই।’’
তবে মন্টুরাম পাখিরা এবং মিমি চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন বেজে গেলেও তাঁদের নাগাল পাওয়া যায়নি ৷ যোগাযোগ করা যায়নি দেবশ্রী রায়ের সঙ্গেও ৷