ক্যানিং, 16 জুলাই: ক্যানিংয়ের তৃণমূলের বুথ সভাপতি নান্টু গাজিকে খুনের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ শুক্রবার রাতে খুন হন তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতি ৷ তাঁর খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল বিরোধীদের দিকে। এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করে ক্যানিং থানা পুলিশ। তদন্তে নেমে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রবিবার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম রশিদ জমাদার, মোসলেম গাজি, ওরমজান গাজি ৷
ধৃতদেরকে রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ক্যানিং থানা এলাকার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা গাজিপাড়ায় 242 নম্বর বুথের তৃণমূলের সভাপতি নান্টু গাজি বাজারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে রাস্তাতেই তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। কোপানো হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। উল্লেখ্য়, 2013 সালে নান্টুর শ্বশুর জুলফিকর গাজিকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। তিনিও তৃণমূল করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরই এলাকায় সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। নান্টুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, সেই সময় জুলফিকরকে যাঁরা খুন করেছিল তাঁদের অনেকেই এখন আইএসএফের সমর্থক। তৃণমূল করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে নান্টুর ঝামেলাও হয়েছিল।
ভোটের আবহে সেই আইএসএফ কর্মীদের হাতেই খুন হতে হয়েছে নান্টুকে এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের আসল কারণ জানতে তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মেনে ধৃতদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নদিয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন ! জখম আরও 15, অভিযুক্ত সিপিএম-কংগ্রেস