মগরাহাট, 26 সেপ্টেম্বর: আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ 24 মগরাহাটের বেনীপুরে সেই সময় ছিল ঘন জঙ্গল ৷ সুভাষগ্রামের কোদালিয়া মাহিনগরের জমিদারি ছেড়ে মগরাহাটের এই বেনীপুরের জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন জমিদার বিজয়রাম বসু ৷ সেখানেই তৈরি করেন প্রাসাদোপম বাড়ি ৷ বেনীপুরে জমিদারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জাঁকজমক করে শুরু হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022) ৷ সেই থেকেই আজও বেনীপুরের বসু বাড়িতে ধুমধাম করে হচ্ছে দেবী দশভূজার আরাধনা ৷ পুজোর জন্য আলাদা করে বিশাল বড় দালান তৈরি করা হয়েছিল ৷
মগরাহাট বেনীপুরের বসুবাড়ির দুর্গাপুজো এবার 289 বছরে পড়ল (289 Years of Magrahat Benipur Bose Bari Durga Puja) ৷ প্রাচীন প্রথা মেনে এখনও পুজো হয়ে আসছে এখানে ৷ তবে, জমিদারি আমলে থাকা বলিপ্রথা এখন আর নেই ৷ বংশ পরম্পরায় অবশ্য একটি পরিবারই প্রতিমা তৈরি করে আসছেন ৷ প্রতি বছরই ডাক পরে পুরোনো ঢাকিদের ৷ পুরোহিতের ক্ষেত্রেও একই প্রথা চলা রয়েছে বসুবাড়ির দুর্গাপুজোয় ৷ সময়ের সঙ্গে জমিদারি বিলুপ্ত হয়েছে ৷ কিন্তু, পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যরা পুজোতে কোনও ভাটা পড়তে দেননি ৷ সাড়ম্বরে বংশ পরম্পরায় চলে আসা বাড়ির পুজোর আয়োজন করেন তাঁরা ৷ সময় যত গড়িয়েছে, পুজোর জৌলুস ততই বেড়েছে । তবে, পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পরিবারের ঐতিহ্যকেও সমানভাবে ধরে রেখেছেন বসু বাড়ির বর্তমান সদস্যরা ৷
আরও পড়ুন: মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গার আরাধনা হয় পটচিত্রে
প্রথামাফিক একচালা প্রতিমায় পুজো হয় ৷ বছরের বাকি সময় যে যেখানেই থাকুন না কেন, পুজোর ক’টা দিন বসুবাড়ির সকলকে বেনীপুরের বাড়িতে পাওয়া যায় ৷ গ্রামের মানুষের সঙ্গে বছরের এই সময়টাই বসুবাড়ির সদস্যদের দেখা হয় ৷ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলেমিশে হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন তাঁরা ৷ পুজোর প্রায় মাসখানেক আগে থেকে পরিবারের সদস্যদের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ৷ বসুবাড়ির মহিলাদের পাশাপাশি ছোটরাও নানাভাবে সহযোগিতা করেন ৷