দক্ষিণ দিনাজপুর, 4 জুন: ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 275 ৷ আহত হাজারের বেশি ৷ নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের কাঁঠালহাটা এলাকার 2 যুবক গত শুক্রবার পাড়ি দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্য ৷ ওই দিনই ঘটে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ সেই ঘটনার পর 30 ঘণ্টা পার হয়ে গেলও স্থানীয় দুই যুবকের খোঁজ নেই ৷ তাঁরা ওই ট্রেনেই ছিলেন ৷
নিখোঁজদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বছর 18-র বিভাস বিশ্বাস ও 20 বছরের অমিত রায় তামিলনাড়ু যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন । কিন্তু কে জানত নিয়তি তাঁদের জন্য কী লিখে রেখেছে ৷ শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটা ওই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় বদলে যায় সমস্ত সমীকরণ ৷ অমিত রায় ও বিভাস বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে কোনও ব্যক্তি তাঁদের ফোন ধরে জানায়, দুই যুবকেরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৷ আর এই ঘটনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে দুই যুবকের পরিবার । চিন্তায় এলাকার বাসিন্দারাও।
এই বিষয়ে নিখোঁজ বিভাস বিশ্বাসের আত্মীয় প্রশান্ত সরকার বলেন, "আমার শালির ছেলে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছিল । শুনেছি তারও ট্রেন দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয়েছে । রেল দফতরের পক্ষ থেকে আমার শালার ছেলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তারা যা জানিয়েছে বিভাসের মত্যু হয়েছে ৷ এখানে সে টোটো চালাত এবং প্রথমবার সে কেরালা যাচ্ছিল কাজ করতে ।"
অন্যদিকে অমিত রায়ের দিদি নমিতা রায় জানান গত বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন তাঁর ভাই । হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে ওঠার আগে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ৷ তখন জানিয়েছিল ট্রেনে উঠবে । তারপর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি ভাইয়ের সঙ্গে ৷ তিনি আরও বলেন, "বাড়িতে আমার দাদা খবর দেখছিল এবং সেই সময় জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা । তার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ফোনে যোগাযোগ করা হলেও অন্যজন ফোন ধরছে এবং বলছে যে মারা গেছে। আমরা খুবই চিন্তিত ৷"
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় দুর্গতদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রেড ভলান্টিয়াররা
এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, কুশমন্ডি ব্লকের কাঁঠাল হাটা এলাকার দুই যুবক কাজের সন্ধানে যাচ্ছিল এবং গত শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বর এ করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তাঁদের সন্ধানের চেষ্টা চলছে ৷