কোচবিহার, 6 জুলাই: বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দিনহাটা-1 ব্লকের গিতালদহের জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীর ৷ ঘটনায় বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া দুই দুষ্কৃতীকে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্গাপুর ও ভারতের জারিধরলা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন সুমন হক ও রহমতউল্লা। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, "জারিধরলা গ্রামে গুলি কাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে দুষ্কৃতীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ আবার দিনহাটা থানার পুলিশের হাতে তাঁদের তুলে দেয়। শুক্রবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 28 জুন দিনহাটা থানার অন্তর্গত গিতালদহ -2 গ্রাম পঞ্চায়েতের জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর। আহত হন 7 জন। দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ কর হয়, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই হামলা চালিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে।
যদিও সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ করে বলেন, মৃত বাবু হক আন্তর্জাতিক অপরাধী ৷ এই ঘটনায় বিজেপির কেউ অভিযুক্ত নন ৷ দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাবু হকের। অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 30 থেকে 40 জনের দুষ্কৃতী দল ওই ঘটনার পর জারিধরলা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাউয়ার চরে এসে আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন: মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা রাজ্যপালের, পিস রুমে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ
বাংলাদেশের স্থানীয় এক বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের গোপন ডেরার খোঁজ পুলিশে দেয় ৷ এরপর গত বুধবার রাতে দুর্গাপুর বাজারে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় দীঘলটারি বিজিবি ওই দুই যুবককে আটক করে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে, ভারতীয় নাগরিক বলে জানায় তাঁরা ৷ এরপর বিএসএফের মাধ্যমে ভারতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের দুর্গাপুর-জারিধরলা সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করা হয়।