ETV Bharat / state

কলকাতার 'পরগাছা' নেতাদের অপমানেই কি 'বিক্ষুব্ধ' মিহির ? - কোচবিহারের খবর

একের পর এক ফেসবুক পোস্ট । গত দেড় মাসে শাসক দলের বিড়ম্বনা ক্রমেই বেড়েছে । সংবাদমাধ্যম থেকে সোশাল মিডিয়ায়... বিভিন্ন সময়ে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন । কেন তার এই অবস্থান ? ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ।

মিহির গোস্বামী
মিহির গোস্বামী
author img

By

Published : Nov 20, 2020, 9:49 PM IST

Updated : Nov 20, 2020, 10:02 PM IST

কোচবিহার, 20 নভেম্বর : একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, অন্যদিকে মিহির গোস্বামী । শুভেন্দু-কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্যের শাসক দলের বিড়ম্বনা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছেন মিহিরবাবু । কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক । ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি । যুব কংগ্রেস... কংগ্রেস ও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে । দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক পদ সামলেছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সফরে দীর্ঘদিনের সঙ্গী তিনি । কিন্তু সম্প্রতি দলের সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে এই বিক্ষুব্ধ নেতার । একের পর এক ফেসবুক পোস্ট । গত দেড় মাসে শাসক দলের বিড়ম্বনা ক্রমেই বেড়েছে । সংবাদমাধ্যম থেকে সোশাল মিডিয়ায়... বিভিন্ন সময়ে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন । কেন তার এই অবস্থান ? ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ।

ইটিভি ভারত : বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতি চলছে । সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন । কেন এই অবস্থান?

মিহির গোস্বামী : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে আমার এই অবস্থান এতদিন ছিল না । কারণ, আমি নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করি । রাজনৈতিক কর্মসূচি, কর্মপন্থা পরিচালিত করবে রাজনৈতিক কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব । এটাই আমি বিশ্বাস করি । কিন্তু আমার মনে হয়েছে তৃণমূলের বেশ কয়েক বছর ধরে সেই অবস্থানটা নেই । বর্তমানে দলের নিচুস্তরের কর্মীদের কথা, চিন্তা, কর্মপন্থার মূল্য নেতৃত্বের কাছে নেই । আমি আমার কথা বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছি, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেও বহুবার জানিয়েছি ।

ইটিভি ভারত : জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কোচবিহার মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন । সেই পদ থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়েছে । তখন প্রতিবাদ করেননি । হঠাৎ জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি ঘোষণার পর প্রতিবাদ শুরু করেছেন । কেন এই প্রতিবাদ?

মিহির গোস্বামী : দীর্ঘ 30 বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করেছি । তৃণমূল গঠিত হবার পর থেকে দীর্ঘ 22 বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বে চলেছি । কিন্তু অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করেছি, কলকাতার কিছু 'পরগাছা' নেতা সবসময় দিদিকে ঘিরে থাকেন । বটগাছের শিঁকড় যেমন উপর থেকে নিচে আসে, বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা হয় যে বটগাছ আর দেখা যায় না । আজকেও অবস্থাটা এমনই হয়েছে । আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্তিত্বই দলের মধ্যে আছে কিনা এটা আমার কাছে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন । আমাকে বিভিন্নভাবে কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কলকাতার পরগাছারা অপমান, অসম্মান করেছেন । যেখানে আমি ভালো কাজ করেছি, সেখান থেকে আমাকে সড়ানোর চক্রান্ত করেছে এবং সরিয়েছে । আমি তাতে কিছু মনে করিনি । কারন আমার মনে হয়েছে দল যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে ।

ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিহির গোস্বামী

আমি বুঝতে পারি না, আমার দোষ কোথায়? আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে না । লোকসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার জেলা বিধানসভাভিত্তিক কমিটি গড়ে দেওয়া হল যার চেয়ারম্যান এলাকার বিধায়করা । কিন্তু পরবর্তীতে জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা নিয়ে আমাদের জানানো হল না । এর আগে 18 সেপ্টেম্বর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে গোটা জেলার বিষয়টি জানিয়ে এসেছিলাম । বলেছিলাম, আমাদের কথা মত যদি কাজ হয় তাহলে আছি, না হলে আমি নেই । কারণ, এক ঠিকাদার সংস্থার কথায় যদি দল পরিচালনা হয় অথবা রাজ্যের অপরিণত নেতৃত্বের নির্দেশে যদি সংগঠন পরিচালিত হয় তাহলে আমার পক্ষে সংগঠনের কাজে থাকা সম্ভব নয় । পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা হল অথচ আমি জানতেই পারলাম না । আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কে ব্লক সভাপতি হবে আমি জানি না । আমাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হল না । আমার মনে হয় দলের কাছে আমার আর প্রয়োজন নেই । প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে ।

ইটিভি ভারত : সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন "আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই" । কেন এমনটা মনে হল?

মিহির গোস্বামী : একটা রাজনৈতিক দল চলে তার কর্মী আর নিচুতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত নেতৃত্বের কর্মকাণ্ডের ফলে । কোনও ঠিকাদারকে দিয়ে যদি রাজনৈতিক দল চালানোর চেষ্টা হয় তাহলে তার শুভ হয় না । তাই বিভিন্ন কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে আমার নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি একবারও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি । তাই মনে হয়েছে, "আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই " অপরিণত কিছু মানুষ, কলকাতার কিছু পরগাছার হাতে দল চলে গেছে । সেই দলে আমার মত কর্মী মূল্যহীন । তাই এমনটা বলেছি ।

ইটিভি ভারত : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আবার ফোন করেন তাহলে তৃণমূলে ফিরে যাবেন?

মিহির গোস্বামী : সময় চলে গেছে । কারণ 3 নভেম্বর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে আমার ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলাম । আজ 20 নভেম্বর । অনেক সময় চলে গেছে । তোর্সা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে । নতুন করে আর সম্ভব নয় ।

ইটিভি ভারত : তৃণমূল কর্মী থেকে কোচবিহারের রাজনীতি সচেতন মানুষ... সকলেই জানতে চান মিহির গোস্বামী কোন পথে চলছেন?

মিহির গোস্বামী : রাজনীতি একটি বহমান নদী । কখনও থেমে থাকে না । যদি থেমে যায় আবর্জনার সৃষ্টি হয় । পোকামাকড় সৃষ্টি হয় । একটা সময় আমারও মনে হয়েছিল রাজনীতি থেকে অবসর নেব । কিন্তু সংবাদমাধ্যমে সব জানার পর কিছু শুভাকাঙ্খী মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফোন করেছেন, বাড়িতে এসেছেন । ভাবনা চিন্তা করার জন্য বলেছেন । গত পাঁচ বছরে 56 টি প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম । একটিও কাজ হয়নি । উন্নয়নের কথা বলেছিলাম । যদি দল সেটাকেও গুরুত্ব না দেয় তাহলে থেকে কি লাভ ! সে ক্ষেত্রে আমাকে ভাবতে হচ্ছে । মানুষ যদি তাঁদের সঙ্গে আমাকে মেশার সুযোগ দেন সেখানে আমি অবশ্যই থাকব । কাজ করার চেষ্টা করব ।

ইটিভি ভারত : কোচবিহারের BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আপনার সঙ্গে দেখা করেছেন । তাহলে আপনি BJP-তে যাচ্ছেন ?

মিহির গোস্বামী : কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আমার ছোট ভাই এর মতো । একটা সময় তৃণমূলের তিনি ছিলেন । বিজয়ার পর তিনি আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন । তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম আলোচনা হয়েছে । শুধু নিশীথ কেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায় আমার বাড়িতে এসেছিলেন । আমার বাড়িতে খেয়েছেন । আলোচনা করেছেন । কাজেই এর সঙ্গে রাজনীতি মেলানো ঠিক হবে না ।

কোচবিহার, 20 নভেম্বর : একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, অন্যদিকে মিহির গোস্বামী । শুভেন্দু-কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্যের শাসক দলের বিড়ম্বনা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছেন মিহিরবাবু । কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক । ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি । যুব কংগ্রেস... কংগ্রেস ও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে । দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক পদ সামলেছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সফরে দীর্ঘদিনের সঙ্গী তিনি । কিন্তু সম্প্রতি দলের সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে এই বিক্ষুব্ধ নেতার । একের পর এক ফেসবুক পোস্ট । গত দেড় মাসে শাসক দলের বিড়ম্বনা ক্রমেই বেড়েছে । সংবাদমাধ্যম থেকে সোশাল মিডিয়ায়... বিভিন্ন সময়ে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন । কেন তার এই অবস্থান ? ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ।

ইটিভি ভারত : বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতি চলছে । সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন । কেন এই অবস্থান?

মিহির গোস্বামী : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে আমার এই অবস্থান এতদিন ছিল না । কারণ, আমি নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করি । রাজনৈতিক কর্মসূচি, কর্মপন্থা পরিচালিত করবে রাজনৈতিক কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব । এটাই আমি বিশ্বাস করি । কিন্তু আমার মনে হয়েছে তৃণমূলের বেশ কয়েক বছর ধরে সেই অবস্থানটা নেই । বর্তমানে দলের নিচুস্তরের কর্মীদের কথা, চিন্তা, কর্মপন্থার মূল্য নেতৃত্বের কাছে নেই । আমি আমার কথা বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছি, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেও বহুবার জানিয়েছি ।

ইটিভি ভারত : জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কোচবিহার মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন । সেই পদ থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়েছে । তখন প্রতিবাদ করেননি । হঠাৎ জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি ঘোষণার পর প্রতিবাদ শুরু করেছেন । কেন এই প্রতিবাদ?

মিহির গোস্বামী : দীর্ঘ 30 বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করেছি । তৃণমূল গঠিত হবার পর থেকে দীর্ঘ 22 বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বে চলেছি । কিন্তু অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করেছি, কলকাতার কিছু 'পরগাছা' নেতা সবসময় দিদিকে ঘিরে থাকেন । বটগাছের শিঁকড় যেমন উপর থেকে নিচে আসে, বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা হয় যে বটগাছ আর দেখা যায় না । আজকেও অবস্থাটা এমনই হয়েছে । আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্তিত্বই দলের মধ্যে আছে কিনা এটা আমার কাছে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন । আমাকে বিভিন্নভাবে কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কলকাতার পরগাছারা অপমান, অসম্মান করেছেন । যেখানে আমি ভালো কাজ করেছি, সেখান থেকে আমাকে সড়ানোর চক্রান্ত করেছে এবং সরিয়েছে । আমি তাতে কিছু মনে করিনি । কারন আমার মনে হয়েছে দল যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে ।

ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিহির গোস্বামী

আমি বুঝতে পারি না, আমার দোষ কোথায়? আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে না । লোকসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার জেলা বিধানসভাভিত্তিক কমিটি গড়ে দেওয়া হল যার চেয়ারম্যান এলাকার বিধায়করা । কিন্তু পরবর্তীতে জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা নিয়ে আমাদের জানানো হল না । এর আগে 18 সেপ্টেম্বর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে গোটা জেলার বিষয়টি জানিয়ে এসেছিলাম । বলেছিলাম, আমাদের কথা মত যদি কাজ হয় তাহলে আছি, না হলে আমি নেই । কারণ, এক ঠিকাদার সংস্থার কথায় যদি দল পরিচালনা হয় অথবা রাজ্যের অপরিণত নেতৃত্বের নির্দেশে যদি সংগঠন পরিচালিত হয় তাহলে আমার পক্ষে সংগঠনের কাজে থাকা সম্ভব নয় । পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা হল অথচ আমি জানতেই পারলাম না । আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কে ব্লক সভাপতি হবে আমি জানি না । আমাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হল না । আমার মনে হয় দলের কাছে আমার আর প্রয়োজন নেই । প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে ।

ইটিভি ভারত : সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন "আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই" । কেন এমনটা মনে হল?

মিহির গোস্বামী : একটা রাজনৈতিক দল চলে তার কর্মী আর নিচুতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত নেতৃত্বের কর্মকাণ্ডের ফলে । কোনও ঠিকাদারকে দিয়ে যদি রাজনৈতিক দল চালানোর চেষ্টা হয় তাহলে তার শুভ হয় না । তাই বিভিন্ন কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে আমার নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি একবারও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি । তাই মনে হয়েছে, "আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই " অপরিণত কিছু মানুষ, কলকাতার কিছু পরগাছার হাতে দল চলে গেছে । সেই দলে আমার মত কর্মী মূল্যহীন । তাই এমনটা বলেছি ।

ইটিভি ভারত : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আবার ফোন করেন তাহলে তৃণমূলে ফিরে যাবেন?

মিহির গোস্বামী : সময় চলে গেছে । কারণ 3 নভেম্বর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে আমার ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলাম । আজ 20 নভেম্বর । অনেক সময় চলে গেছে । তোর্সা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে । নতুন করে আর সম্ভব নয় ।

ইটিভি ভারত : তৃণমূল কর্মী থেকে কোচবিহারের রাজনীতি সচেতন মানুষ... সকলেই জানতে চান মিহির গোস্বামী কোন পথে চলছেন?

মিহির গোস্বামী : রাজনীতি একটি বহমান নদী । কখনও থেমে থাকে না । যদি থেমে যায় আবর্জনার সৃষ্টি হয় । পোকামাকড় সৃষ্টি হয় । একটা সময় আমারও মনে হয়েছিল রাজনীতি থেকে অবসর নেব । কিন্তু সংবাদমাধ্যমে সব জানার পর কিছু শুভাকাঙ্খী মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফোন করেছেন, বাড়িতে এসেছেন । ভাবনা চিন্তা করার জন্য বলেছেন । গত পাঁচ বছরে 56 টি প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম । একটিও কাজ হয়নি । উন্নয়নের কথা বলেছিলাম । যদি দল সেটাকেও গুরুত্ব না দেয় তাহলে থেকে কি লাভ ! সে ক্ষেত্রে আমাকে ভাবতে হচ্ছে । মানুষ যদি তাঁদের সঙ্গে আমাকে মেশার সুযোগ দেন সেখানে আমি অবশ্যই থাকব । কাজ করার চেষ্টা করব ।

ইটিভি ভারত : কোচবিহারের BJP সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আপনার সঙ্গে দেখা করেছেন । তাহলে আপনি BJP-তে যাচ্ছেন ?

মিহির গোস্বামী : কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আমার ছোট ভাই এর মতো । একটা সময় তৃণমূলের তিনি ছিলেন । বিজয়ার পর তিনি আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন । তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম আলোচনা হয়েছে । শুধু নিশীথ কেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায় আমার বাড়িতে এসেছিলেন । আমার বাড়িতে খেয়েছেন । আলোচনা করেছেন । কাজেই এর সঙ্গে রাজনীতি মেলানো ঠিক হবে না ।

Last Updated : Nov 20, 2020, 10:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.