ETV Bharat / state

চার মাস ধরে বেতন বন্ধ পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের, আবর্জনা জমছে রাজার শহরে - পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী

চার মাস ধরে বেতন নেই ৷ চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে কোচবিহার পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের। কোরোনা আতঙ্কে পৌরসভার আয় তলানিতে ৷ সেজন্য বেতন এখনই দেওয়া সম্ভব নয় ৷ কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং আজ এই কথা জানান ৷

salary crisis
পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীরা আন্দোলনে
author img

By

Published : Aug 23, 2020, 8:05 AM IST

কোচবিহার,22 অগাস্ট: চারমাস ধরে বেতন বন্ধ কোচবিহার পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের। বাধ্য হয়ে গত দুসপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন সাফাই কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বেতন না পেয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বাড়িতে খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে আন্দোলনে নেমেছেন । তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবছেন তারা । যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

চারমাস ধরে বেতন বন্ধ পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের
রাজার শহর কোচবিহার। এই শহর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব যেসব সাফাই কর্মীদের সেই সাফাই কর্মীদের একটা বড় অংশ গত 4 মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছে কোচবিহার পৌরসভার অন্তত 400 অস্থায়ী সাফাই কর্মী। গত কয়েকমাসে একাধিকবার আবেদন নিবেদন জানিয়ে কাজ না হওয়ায় এবার কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে অস্থায়ী কর্মীরা। দাবি আদায়ে পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে পথ অবরোধ সবই করেছেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। পৌরসভা সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, এই অস্থায়ী কর্মীদের পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয়। 3000-4০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন রয়েছে এইসব কর্মীদের। কিন্তু কোরোনার কারণে গত কয়েকমাসে পৌরসভার নিজস্ব তহবিলে আয় তলানিতে।


এদের বেতন দিতে মাসে খরচ হয় প্রায় 4০ লাখ টাকা। কিন্তু পৌরসভার আয় তলানিতে চলে যাওয়ায় এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই ঘটনার জেরে অস্থায়ী কর্মীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন। কখনও পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, আবার কখনও পথ অবরোধ করছেন। পাশাপাশি রাজার শহরের আলিতে গলিতে নোংরা আবর্জনা জমতে শুরু করেছে।জঞ্জালের স্তুপ তৈরি হচ্ছে রাজার শহরে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে বুঝতে পেরে স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে শহর পরিষ্কার করতে শুরু করালেও কাজ হচ্ছে না। অস্থায়ী সাফাই কর্মী গীতা হরিজন বলেন, 4 মাস ধরে বেতন মিলছে না। বলে সংসার চালাতে পারছি না। তাই আন্দোলনে নেমেছি। প্রবীণ সাফাই কর্মী মঙ্গল রাজভর বলেন, ভাড়া বাড়িতে থাকি। বাড়িওয়ালা বলছে ভাড়া না দিলে তাড়িয়ে দেবে। খাবার পয়সা নেই ভাড়া দেব কোথা থেকে। অবিলম্বে বেতন না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। যদিও কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং বলেন, কোরোনার কারণে গত কয়েক মাস ধরে পৌরসভার আয় তলানিতে। তাই বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বেতন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


কোচবিহার,22 অগাস্ট: চারমাস ধরে বেতন বন্ধ কোচবিহার পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের। বাধ্য হয়ে গত দুসপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন সাফাই কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বেতন না পেয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বাড়িতে খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে আন্দোলনে নেমেছেন । তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবছেন তারা । যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

চারমাস ধরে বেতন বন্ধ পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের
রাজার শহর কোচবিহার। এই শহর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব যেসব সাফাই কর্মীদের সেই সাফাই কর্মীদের একটা বড় অংশ গত 4 মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছে কোচবিহার পৌরসভার অন্তত 400 অস্থায়ী সাফাই কর্মী। গত কয়েকমাসে একাধিকবার আবেদন নিবেদন জানিয়ে কাজ না হওয়ায় এবার কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে অস্থায়ী কর্মীরা। দাবি আদায়ে পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে পথ অবরোধ সবই করেছেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। পৌরসভা সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, এই অস্থায়ী কর্মীদের পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয়। 3000-4০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন রয়েছে এইসব কর্মীদের। কিন্তু কোরোনার কারণে গত কয়েকমাসে পৌরসভার নিজস্ব তহবিলে আয় তলানিতে।


এদের বেতন দিতে মাসে খরচ হয় প্রায় 4০ লাখ টাকা। কিন্তু পৌরসভার আয় তলানিতে চলে যাওয়ায় এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই ঘটনার জেরে অস্থায়ী কর্মীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন। কখনও পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, আবার কখনও পথ অবরোধ করছেন। পাশাপাশি রাজার শহরের আলিতে গলিতে নোংরা আবর্জনা জমতে শুরু করেছে।জঞ্জালের স্তুপ তৈরি হচ্ছে রাজার শহরে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে বুঝতে পেরে স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে শহর পরিষ্কার করতে শুরু করালেও কাজ হচ্ছে না। অস্থায়ী সাফাই কর্মী গীতা হরিজন বলেন, 4 মাস ধরে বেতন মিলছে না। বলে সংসার চালাতে পারছি না। তাই আন্দোলনে নেমেছি। প্রবীণ সাফাই কর্মী মঙ্গল রাজভর বলেন, ভাড়া বাড়িতে থাকি। বাড়িওয়ালা বলছে ভাড়া না দিলে তাড়িয়ে দেবে। খাবার পয়সা নেই ভাড়া দেব কোথা থেকে। অবিলম্বে বেতন না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। যদিও কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং বলেন, কোরোনার কারণে গত কয়েক মাস ধরে পৌরসভার আয় তলানিতে। তাই বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বেতন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.