কোচবিহার, ২৮ ফেব্রুয়ারি : অধ্যাপককে মারধরের ঘটনা ঘটল কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙা বীরেন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে। ইতিহাস বিষয়ের এই অধ্যাপকের নাম অমৃতকুমার শীল। ইন্টারনাল পরীক্ষায় ইতিহাসে শূন্য পাওয়ায় ওই অধ্যাপকের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন ছাত্র। ঘটনাটি মঙ্গলবার হলেও বুধবার রাতে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কলেজের সেমিস্টারে ইন্টারনাল ১০ নম্বর থাকে। অধ্যাপক কয়েকজন ছাত্রকে সেই সেমিস্টারে শূন্য দিয়েছেন। যদিও অধ্যাপকের দাবি অভিযুক্ত ছাত্ররা পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল না। উপস্থিত না থাকলেও নম্বর দিতে হবে তেমন কোনও ইন্সট্রাকশন কর্তৃপক্ষ দেয়নি। সেইকারণে বেশ কয়েকজন ছাত্রের খাতায় কোনও নম্বর না দিয়েই তিনি খাতা জমা দেন। কিন্তু, রেজ়াল্ট বের হলে ওই ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়। এর পর রাজু বিশ্বাস নামে এক বহিরাগতের নেতৃত্বে তারা চড়াও হয়।
অভিযোগ, প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে অধ্যাপককে বাইরের একটি ঘরে ডেকে নেয় তারা। সেখানে অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য অধ্যাপকরাও যান। কিন্তু রাজু বিশ্বাস ৫ মিনিট অমৃতবাবুর সঙ্গে কথা বলার জন্য অন্য অধ্যাপকদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তাঁরা বেরিয়ে গেলে শুরু হয় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ। এরপর রাজু সজোরে পেটে লাথি, কিল, ঘুষি মারে অধ্যাপককে। আহত অমৃতবাবুকে অধ্যক্ষসহ অন্য অধ্যাপকরা ঘোকসাডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
অধ্যাপক নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় নিন্দার ঝড় শিক্ষক মহলে। পঞ্চাননবর্মা বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কোচবিহার কলেজের অধ্যাপক মৃদুল ঘোষ বলেন, "আমাদের জেলায় বা রাজ্যে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা ছাত্র এবং অধ্যাপকরা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট। যারা এই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি রাখছি।"