কোচবিহার, 25 জুন : প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হল মাটি খুঁড়ে ৷ শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকায় ৷ কোচবিহার-2 ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলের ইকোরচালা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে ওই ব্য়ক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ মৃতের নাম কালীদাস (61) ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক নাবালক সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই ওই বৃদ্ধকে খুন করে মাটির নীচে পুঁতে রেখেছিল আততায়ীরা ৷ নিহত কালীদাস ইকরচোলা গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন ৷ বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি ৷ মূলত কীর্তন গেয়েই অর্থ উপার্জন করতেন কালী ৷ পাশাপাশি, টুকটাক অন্যান্য কাজও করতেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : পায়রা ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু, পরদিন দেহ উদ্ধার পুকুর থেকে
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায় সাড়ে চার মাস আগে কালীদাস হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান ৷ এরপরই তাঁর আত্মীয়দের পক্ষ থেকে পুণ্ডিবাড়ি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়ারি করা হয় ৷ ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ৷ দিন কয়েক আগে গোপালপুর অঞ্চলের ইকরচোলা গ্রাম থেকে চার জনকে আটক করে তারা ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক ৷ পরে তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয় ৷
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে, যে তারা ওই বৃদ্ধকে খুন করে গ্রামের পাশের জঙ্গলে মাটির নীচে পুঁতে রেখেছে ৷ এরপরই শুক্রবার পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে ৷ কোথায় বৃদ্ধ কালীদাসকে পুঁতে রাখা হয়েছিল, সেই জায়গাটি চিহ্নিত করা হয় ৷ তারপর মাটি খুঁড়ে দেহটি বের করে আনে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : Malda Murder : চারজনের দেহ উদ্ধার, টাকার জন্যই কি খুন ? ভাবাচ্ছে পুলিশকে
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে কবে, কীভাবে কালীদাসকে খুন করা হল, কীভাবেই বা তাঁর দেহ লোপাট করা হয়, এখনও সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি ৷ এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
স্থানীয় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবেন বর্মন এই প্রসঙ্গে বলেন, পুরনো কোনো শত্রুতার জেরেই সম্ভবত কালীদাসকে খুন করা হয়েছে ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে এলাকার অল্প বয়সীদের, বিশেষ করে এক নাবালকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন ৷