জলপাইগুড়ি, 1 অগস্ট: ‘‘আর কোনওদিন জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিতে আসব না। আমার দশ বন্ধুকে কেড়ে নিল। আর কেউ যেন বৃষ্টির মধ্যে ডিজে বাজিয়ে এই ভাবে জল্পেশে না আসে’’ কোনওরকমে প্রাণ ফিরে পেয়ে এমনটাই মত জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া পুণ্য়ার্থী মুন্না বর্মণের । শর্ট সার্কিটে 10 পুণ্যার্থীর মৃত্যু হলেও প্রাণে বেঁচেছেন 16 জন পুণ্যার্থী ৷
রবিবার রাতে শিতলকুচি থেকে পিকআপ ভ্যানে করে ডিজে বাজিয়ে জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিতে আসছিল একদল পুণ্যার্থী । সেইসময়েই পুর্ণ্যার্থীদের পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ছিল ডিজের জেনারেটর ভ্যান ৷ এই জেনারেটর ভ্যানে হঠাৎ শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে (pilgrims die after getting electrocuted by generator on vehicle) ৷ যা ছড়িয়ে পড়ে পিকআপ ভ্যানে ৷ পিকআপ ভ্যানে ছিলেন 35 জন পুণ্যার্থী ৷ পুণ্যার্থী আকাশ বর্মণ, শুভঙ্কর বর্মণরা জানান, সত্যি মৃ্ত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছন তাঁরা ৷ তবে পিকআপ ভ্যানে আরও যেসকল পুণ্যার্থী ছিলেন তাঁরা সকলেই একই গ্রামের ৷ বৃষ্টির মধ্যে ডিজে বাজাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ৷ আর কখনও বৃষ্টিতে ডিজে না বাজানোর অঙ্গীকার ওই ‘পুণ্যার্থীর’ ৷
আরও পড়ুন: শিবমন্দিরে যাওয়ার পথে গাড়িতে শর্ট সার্কিট, মৃত 10 পুণ্যার্থী
প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে চ্যাংড়াবান্ধার ধরলা সেতু পার হওয়ার পর পিকআপ ভ্যানে থাকা জেনারেটর থেকে পুণ্যার্থীদের শর্টসার্কিট হয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান প্রাথমিক তদন্তে । আহতদের চ্যাংড়াবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে 10 জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্ত্যরত চিকিৎসক।16 জন আহতকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। মৃতদের বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচির মিরাপাড়ায়।