কোচবিহার, 20 ফেব্রুয়ারি : বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন । তার আগেই শাসক দল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপি কিংবা বাম-কংগ্রেস সকলেই ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি এই প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে ছোটো ছোটো জনসভায় ৷
রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য, ছোটো ছোটো এলাকা ভিত্তিক বৈঠকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা যায়। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট এলাকার অভাব-অভিযোগের বিষয় তুলে ধরার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। তাছাড়া অঞ্চল ভিত্তিক সংগঠন চাঙ্গা রাখার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। তাই সব মিলিয়ে ঘরোয়া ছোটো ছোটো বৈঠকেই জোর দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি।
কোচবিহার জেলায় 9টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে 8টি বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। 1টি বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দখলে। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হওয়ায় জোর লড়াই জমেছে তরাই-ডুয়ার্সে।
আরও পড়ুন : "চলো পালটাই", ভোট-বঙ্গে নতুন স্লোগান শাহের
বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচারে নেমেছে। আর সব রাজনৈতিক দলই ছোটো ছোটো বৈঠকের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। তৃণমূল নেতা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘এমন কোনও পরিবার নেই যারা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুযোগ পায়নি। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তাই ছোটো ছোটো বৈঠক করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছোটো ছোটো বৈঠক করে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের সামনে তুলে ধরছি।’’ কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি কেশব রায় বলেন, ‘‘ছোটো ছোটো বৈঠকের মাধ্যমে মানুষকে ভালোভাবে বোঝানো যায়।’’ তাহলে কি বড় সভা হবে না ? সে প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানাচ্ছেন, ভোটের আগে সময় বুঝে বড় সভার আয়োজন করা হবে।