ETV Bharat / state

Migrant Worker Death: নয়াদিল্লিতে কোচবিহারের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য - Migrant Worker of Cooch Behar Death

রাজধানীতে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে মৃত্যু কোচবিহারের পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death) । মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য ৷

Mystery surrounds Migrant Worker of Cooch Behar Death in New Delhi
Mystery surrounds Migrant Worker of Cooch Behar Death in New Delhi
author img

By

Published : Oct 18, 2022, 10:25 AM IST

কোচবিহার, 18 অক্টোবর: ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death) । মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য বাড়ছে । মৃত শ্রমিকের নাম মিঠুন রায় (29) ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ির ডাকুরটারির বাসিন্দা তিনি ।

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের দুই যুবক বাবলু রায় ও মিঠুন রায় কাজের উদ্দেশ্য রাজস্থান পাড়ি দেয় গত মঙ্গলবার । শনিবার মধ্যরাতে পারিবারের লোকজনের কাছে হঠাৎই খবর আসে নয়াদিল্লির (New Delhi) কাছে হাপুর স্টেশনে রেলে কাটা পরে মৃত্যু হয়েছে মিঠুনের । তাঁর কাছে মোবাইল ছিল না । তিনি বাবলুর মোবাইল দিয়ে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন ট্রেনে রয়েছেন । বাবলুর মোবাইল দিয়ে গত শনিবার রাত 8টা নাগাদ ফোনে শেষ কথা হয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে ।

পরিবারের সদস্যরা ছেলের সঙ্গে কথা হওয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েন । শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কর্মী ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানান, হাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হয়েছে । ওই পুলিশ কর্মীকে পুনরায় ফোন করা হয় পরিবারের তরফে । পরবর্তীতে মিঠুনের দেহের ছবি পাঠালে বাড়ির লোক নিশ্চিত হন ৷

মিঠুনের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠছে পরিবারের তরফে । কারণ তিনি বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন । মিঠুনের বাবা সতীশচন্দ্র রায় বলেন, "আমার বউমাকে ফোন করে বলেছিল ছেলে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে । তাই মৃত্যুর খবর প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি । পরে জানলাম আমার ছেলে নেই ।"

পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

মিঠুনের বাড়ির ফোন নম্বর কী করে পেল উত্তরপ্রদেশের হাপুর স্টেশনের পুলিশ ? মিঠুনের বাবা সতীশচন্দ্র রায় পুলিশ কর্মীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, হাপুর স্টেশন থেকে তাঁর ফোন দিয়ে মিঠুন বাড়িতে ফোন করার চেষ্টা করে । কিন্তু সেই সময় ফোন লাগেনি । কিছুক্ষণ পর ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হলে পুলিশকর্মীর নজরে আসে । এরপর ডায়াল করা নম্বরে ফোন করে পুলিশ কর্মী মৃত্যুর কথা জানান ৷

মিঠুনের স্ত্রী পম্পা রায় শোকে কাতর ৷ সেই অবস্থায় তিনি বলেন, "গতকাল আমাকে ফোন করে জানায় পৌঁছে গিয়েছে তাঁরা । তারপর এরকম খবর আসবে ভাবতি পারছি না । আমার তিন বছরের এক মেয়ে ও দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না ।"

মিঠুনের সঙ্গে যাওয়া প্রতিবেশি যুবক বাবলু রায় বলেন, "মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বের হলেও এনজিপি থেকে টিকিট না-পেয়ে ধূপগুড়িতে ছিলাম । তারপর শুক্রবার অবধ-আসাম এক্সপ্রেসে রওনা দিই ।" তাঁর দাবি, "নয়াদিল্লির কাছে হাপুর স্টেশন রাত 11টা নাগাদ মিঠুন আমাকে বলে টয়লেট যাওয়ার কথা । কিন্তু ফিরে না-আসায় খোঁজাখুঁজি করেও ট্রেনের মধ্যে দেখা পাইনি ।"

আরও পড়ুন: বাংলায় মাথা ও ঝাড়খণ্ডে ধড়, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু ব্যক্তির

প্রশ্ন উঠছে মিঠুন রাজস্থানে পৌঁছে যাওয়ার কথা বললেও দেহ কেন হাপুরে পাওয়া গেল ? তবে সত্যিই ট্রেনে কাটা পড়ল নাকি খুন করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা । সোমবার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে , মিঠুনের দাদার বিমানে করে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে । মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন (Mystery surrounds Migrant Worker of Cooch Behar Death) ।

কোচবিহার, 18 অক্টোবর: ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death) । মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য বাড়ছে । মৃত শ্রমিকের নাম মিঠুন রায় (29) ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ির ডাকুরটারির বাসিন্দা তিনি ।

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের দুই যুবক বাবলু রায় ও মিঠুন রায় কাজের উদ্দেশ্য রাজস্থান পাড়ি দেয় গত মঙ্গলবার । শনিবার মধ্যরাতে পারিবারের লোকজনের কাছে হঠাৎই খবর আসে নয়াদিল্লির (New Delhi) কাছে হাপুর স্টেশনে রেলে কাটা পরে মৃত্যু হয়েছে মিঠুনের । তাঁর কাছে মোবাইল ছিল না । তিনি বাবলুর মোবাইল দিয়ে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন ট্রেনে রয়েছেন । বাবলুর মোবাইল দিয়ে গত শনিবার রাত 8টা নাগাদ ফোনে শেষ কথা হয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে ।

পরিবারের সদস্যরা ছেলের সঙ্গে কথা হওয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েন । শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কর্মী ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানান, হাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হয়েছে । ওই পুলিশ কর্মীকে পুনরায় ফোন করা হয় পরিবারের তরফে । পরবর্তীতে মিঠুনের দেহের ছবি পাঠালে বাড়ির লোক নিশ্চিত হন ৷

মিঠুনের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠছে পরিবারের তরফে । কারণ তিনি বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন । মিঠুনের বাবা সতীশচন্দ্র রায় বলেন, "আমার বউমাকে ফোন করে বলেছিল ছেলে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে । তাই মৃত্যুর খবর প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি । পরে জানলাম আমার ছেলে নেই ।"

পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

মিঠুনের বাড়ির ফোন নম্বর কী করে পেল উত্তরপ্রদেশের হাপুর স্টেশনের পুলিশ ? মিঠুনের বাবা সতীশচন্দ্র রায় পুলিশ কর্মীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, হাপুর স্টেশন থেকে তাঁর ফোন দিয়ে মিঠুন বাড়িতে ফোন করার চেষ্টা করে । কিন্তু সেই সময় ফোন লাগেনি । কিছুক্ষণ পর ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হলে পুলিশকর্মীর নজরে আসে । এরপর ডায়াল করা নম্বরে ফোন করে পুলিশ কর্মী মৃত্যুর কথা জানান ৷

মিঠুনের স্ত্রী পম্পা রায় শোকে কাতর ৷ সেই অবস্থায় তিনি বলেন, "গতকাল আমাকে ফোন করে জানায় পৌঁছে গিয়েছে তাঁরা । তারপর এরকম খবর আসবে ভাবতি পারছি না । আমার তিন বছরের এক মেয়ে ও দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না ।"

মিঠুনের সঙ্গে যাওয়া প্রতিবেশি যুবক বাবলু রায় বলেন, "মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বের হলেও এনজিপি থেকে টিকিট না-পেয়ে ধূপগুড়িতে ছিলাম । তারপর শুক্রবার অবধ-আসাম এক্সপ্রেসে রওনা দিই ।" তাঁর দাবি, "নয়াদিল্লির কাছে হাপুর স্টেশন রাত 11টা নাগাদ মিঠুন আমাকে বলে টয়লেট যাওয়ার কথা । কিন্তু ফিরে না-আসায় খোঁজাখুঁজি করেও ট্রেনের মধ্যে দেখা পাইনি ।"

আরও পড়ুন: বাংলায় মাথা ও ঝাড়খণ্ডে ধড়, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু ব্যক্তির

প্রশ্ন উঠছে মিঠুন রাজস্থানে পৌঁছে যাওয়ার কথা বললেও দেহ কেন হাপুরে পাওয়া গেল ? তবে সত্যিই ট্রেনে কাটা পড়ল নাকি খুন করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা । সোমবার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে , মিঠুনের দাদার বিমানে করে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে । মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন (Mystery surrounds Migrant Worker of Cooch Behar Death) ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.