কোচবিহার, 19 ডিসেম্বর: রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার (Cooch Behar) পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) ও কোচবিহার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দারের নামে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয়েছে । এমনই অভিযোগে কোচবিহার শহরের এমজেএন রোড সংলগ্ন সাগরদিঘী, নরসিংহ দিঘী, আরএন রোডের উপর লিফলেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে সোমবার সকালে ৷
ওই লিফলেটের শিরোনাম, জনতার হুঁশিয়ারি ৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের দলের বর্তমান পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কল্যাণী পোদ্দার কোটি কোটি টাকা তছরূপ করেছেন । যাহা কোচবিহারবাসীর কাছে অবগত রয়েছে । কোটি কোটি টাকা সম্ভাব্য কোচবিহারে তুলেছে চাকরি দিতে পারেননি । টাকা গায়েব করে দিয়েছে । যে টাকার কিছু অংশ কলকাতায় দেওয়া হয়েছে । আর কল্যাণী পোদ্দার বদলি ও চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন । ওই মহিলাও ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে প্রতারণা করেছেন । আমাদের সময় এসেছে তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা আদায় করার । টাকা ফেরত না দিলে তাঁদের পিঠের চামড়া উঠিয়ে নেওয়া হবে ।’’ শেষে লেখা রয়েছে, কোচবিহারের জনগণ ।
এমন লিফলেট চিঠি শহরের রাস্তায় পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে কোচবিহারে । তবে কারা এই চিঠি রাস্তায় ফেলল, তা নিয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন । গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে বিজেপি (BJP) । বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, ‘‘কোচবিহারের মানুষ সবাই জানে যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কল্যাণী পোদ্দার চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে । এতদিন বাসিন্দারা বলার সাহস পেতেন না । যেহেতু এখন বিরোধীদল শক্তিশালী হয়েছে । তাই তাঁরা এখন অভিযোগ করছেন ।’’
বিষয়টি নিয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘কারা করেছে জানি না । তবে দম থাকলে সামনে আসুক ।’’ তাঁর পালটা অভিযোগ, ‘‘যেহেতু বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Union Minister Nisith Pramanik) বাবার নাম ঘরের তালিকায় এসেছে । তারই পালটা হিসেবে বিজেপি এই কাজ করে নোংরা জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে ।’’
আরও পড়ুন: ঘরের বিনিময়ে আগাম আদায় 10 হাজার ! কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য