ETV Bharat / state

Cooch Behar: কাঁটাতার সাক্ষী রেখে মিলন মেলা ! বছরভরের অপেক্ষা মেটে কুচলিবাড়ি সীমান্তে - কোচবিহারের খবর

কোচবিহারের (Cooch Behar) কুচলিবাড়ি সীমান্তে (Kuchlibari Border) মিলন উৎসব ৷ কালীপুজোর (Kali Puja 2022) পরদিন আপনজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ৷

Indian Citizen meet with Bangladeshi Relatives at Kuchlibari Border of Cooch Behar after Kali Puja 2022
Cooch Behar: কাঁটাতার সাক্ষী রেখে মিলন মেলা ! বছরভরের অপেক্ষা মেটে কুচলিবাড়ি সীমান্তে
author img

By

Published : Oct 26, 2022, 4:14 PM IST

কোচবিহার, 26 অক্টোবর: কাঁটাতারের নাগালে মিলন মেলায় বাঁধ ভাঙল আবেগ ! কেউ কেঁদে ভাসালেন, কেউ বা গলা তুলে প্রিয়জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন ! কালীপুজোর পরদিন কোচবিহারের (Cooch Behar) কুচলিবাড়ি সীমান্তে (Kuchlibari Border) এই মিলন উৎসব দেখতে ভিড় জমালেন অন্যরাও ৷ সাক্ষাৎ শেষে আবার শুরু হল এক বছরের অপেক্ষা !

বিষয়টা একটু ভেঙেই বলা যাক ৷ দেশভাগ, বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন-সহ বিভিন্ন কারণে কোচবিহার ও সংলগ্ন এলাকার বহু বাসিন্দার আত্মীয়, পরিজনরা এখন বাংলাদেশের বাসিন্দা ৷ ভিসা, পাসপোর্টের ঝক্কি সামলে কাঁটাতার পেরিয়ে এই দু'পক্ষের মধ্যে দেখা, সাক্ষাৎ খুব একটা হয় না ৷ ব্যতিক্রম শুধুই বছরের একটা মাত্র দিন ৷ প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন কুচলিবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের দুই দিকে ভিড় জমান দুই ভিন্ন দেশের নাগরিক এই আপনজনেরা ৷ কাঁটাতারের বেড়া মাঝে রেখে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা ৷ প্রশাসনের তরফেই এই আয়োজন করা হয় ৷ এবারও (Kali Puja 2022) সেই ব্যবস্থাপনা ঘিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নিল কুচলিবাড়ি সীমান্ত ৷

আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে পুরুষত্ব নষ্টকারী মশলা ব্যবহার ! দোকান বন্ধ করালেন রবীন্দ্রনাথ

কালীপুজোর পরদিন মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির সীমান্তের হেদুরটারি ও বল্টুরটারি এলাকায় দুই দেশের মানুষ আত্মীয়, পরিজনদের দেখা করার সুযোগ পান ৷ ভারতের তরফে এই বিষয়টি পরিচালনা করে বিএসএফ ৷ এমনকী, বিশেষ অনুমতি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পরভূমে পা রাখাও যায় ! তাই বহু দূর থেকেও মানুষ আসে এই মিলন উৎসবে সামিল হতে ৷ তাঁদেরই একজন ধূপগুড়ির বাসিন্দা প্রতিমা রায় ৷ জনালেন, "আমার বাবা, মা এখনও বাংলাদেশের পাটগ্রামে থাকেন ৷ সেখানে আমার বাপের বাড়ির আরও অনেকে রয়েছেন ৷ পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে যেতে পারি না ৷ তাই প্রত্যেক বছর বাবা-মায়ের মুখ দেখতে এখানে আসি ৷ উৎসবের দিনগুলোয় বেশি করে ওঁদের কথা মনে পড়ে ৷ এভাবে দেখা করতে দেওয়ার জন্য বিএসএফ-কে ধন্যবাদ ৷"

বাংলাদেশের প্রবীণ দম্পতি হরিমন রায় ও সুমতি রায়ের বাড়ি পাটগ্রামেরই ঘোষপাড়ায় ৷ মেয়ে ফুলমতির বিয়ে হয়েছে ভারতের মেখলিগঞ্জের জামালদহে ৷ পাসপোর্ট করার আর্থিক সামর্থ্য নেই ৷ তাই প্রত্যেক বছরের মতো এবারও মিলন মেলায় এসেছিলেন তাঁরা ৷ জলপাইগুড়ি থেকে আসা শম্ভু রায় বলেন, "আমাদের বংশের অর্ধেক মানুষই দেশ ভাগের সময় ভারতে এসেছেন ৷ বাকিরা এখনও বাংলাদেশে থাকেন ৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছি ৷" স্থানীয় যুবক জ্যোতিবিকাশ রায় জানিয়েছেন, "আমাদের এখানকার অনেকের আত্মীয়, পরিজন রয়েছেন বাংলাদেশে ৷ এঁদের কথা ভেবেই বিএসএফ একদিনের জন্য মিলন মেলার অনুমতি দেয় ৷"

এই বিষয়ে এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য ফুলতি রায় জানিয়েছেন, কালীপূজোর পরদিন বিএসএফ দুই দেশের বাসিন্দাদের দেখা করার সুযোগ করে দেয় ৷ এতে বহু মানুষ উপকৃত হন ৷

কোচবিহার, 26 অক্টোবর: কাঁটাতারের নাগালে মিলন মেলায় বাঁধ ভাঙল আবেগ ! কেউ কেঁদে ভাসালেন, কেউ বা গলা তুলে প্রিয়জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন ! কালীপুজোর পরদিন কোচবিহারের (Cooch Behar) কুচলিবাড়ি সীমান্তে (Kuchlibari Border) এই মিলন উৎসব দেখতে ভিড় জমালেন অন্যরাও ৷ সাক্ষাৎ শেষে আবার শুরু হল এক বছরের অপেক্ষা !

বিষয়টা একটু ভেঙেই বলা যাক ৷ দেশভাগ, বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন-সহ বিভিন্ন কারণে কোচবিহার ও সংলগ্ন এলাকার বহু বাসিন্দার আত্মীয়, পরিজনরা এখন বাংলাদেশের বাসিন্দা ৷ ভিসা, পাসপোর্টের ঝক্কি সামলে কাঁটাতার পেরিয়ে এই দু'পক্ষের মধ্যে দেখা, সাক্ষাৎ খুব একটা হয় না ৷ ব্যতিক্রম শুধুই বছরের একটা মাত্র দিন ৷ প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন কুচলিবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের দুই দিকে ভিড় জমান দুই ভিন্ন দেশের নাগরিক এই আপনজনেরা ৷ কাঁটাতারের বেড়া মাঝে রেখে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা ৷ প্রশাসনের তরফেই এই আয়োজন করা হয় ৷ এবারও (Kali Puja 2022) সেই ব্যবস্থাপনা ঘিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নিল কুচলিবাড়ি সীমান্ত ৷

আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে পুরুষত্ব নষ্টকারী মশলা ব্যবহার ! দোকান বন্ধ করালেন রবীন্দ্রনাথ

কালীপুজোর পরদিন মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির সীমান্তের হেদুরটারি ও বল্টুরটারি এলাকায় দুই দেশের মানুষ আত্মীয়, পরিজনদের দেখা করার সুযোগ পান ৷ ভারতের তরফে এই বিষয়টি পরিচালনা করে বিএসএফ ৷ এমনকী, বিশেষ অনুমতি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পরভূমে পা রাখাও যায় ! তাই বহু দূর থেকেও মানুষ আসে এই মিলন উৎসবে সামিল হতে ৷ তাঁদেরই একজন ধূপগুড়ির বাসিন্দা প্রতিমা রায় ৷ জনালেন, "আমার বাবা, মা এখনও বাংলাদেশের পাটগ্রামে থাকেন ৷ সেখানে আমার বাপের বাড়ির আরও অনেকে রয়েছেন ৷ পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে যেতে পারি না ৷ তাই প্রত্যেক বছর বাবা-মায়ের মুখ দেখতে এখানে আসি ৷ উৎসবের দিনগুলোয় বেশি করে ওঁদের কথা মনে পড়ে ৷ এভাবে দেখা করতে দেওয়ার জন্য বিএসএফ-কে ধন্যবাদ ৷"

বাংলাদেশের প্রবীণ দম্পতি হরিমন রায় ও সুমতি রায়ের বাড়ি পাটগ্রামেরই ঘোষপাড়ায় ৷ মেয়ে ফুলমতির বিয়ে হয়েছে ভারতের মেখলিগঞ্জের জামালদহে ৷ পাসপোর্ট করার আর্থিক সামর্থ্য নেই ৷ তাই প্রত্যেক বছরের মতো এবারও মিলন মেলায় এসেছিলেন তাঁরা ৷ জলপাইগুড়ি থেকে আসা শম্ভু রায় বলেন, "আমাদের বংশের অর্ধেক মানুষই দেশ ভাগের সময় ভারতে এসেছেন ৷ বাকিরা এখনও বাংলাদেশে থাকেন ৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছি ৷" স্থানীয় যুবক জ্যোতিবিকাশ রায় জানিয়েছেন, "আমাদের এখানকার অনেকের আত্মীয়, পরিজন রয়েছেন বাংলাদেশে ৷ এঁদের কথা ভেবেই বিএসএফ একদিনের জন্য মিলন মেলার অনুমতি দেয় ৷"

এই বিষয়ে এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য ফুলতি রায় জানিয়েছেন, কালীপূজোর পরদিন বিএসএফ দুই দেশের বাসিন্দাদের দেখা করার সুযোগ করে দেয় ৷ এতে বহু মানুষ উপকৃত হন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.